গাজার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আচরণকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক চাপেই এমন সিদ্ধান্ত বলে খবর বিবিসির।
বিবিসি জানিয়েছে, ম্যাচটি বাতিল করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার গঞ্জালো হিগুয়াইন ইএসপিএন স্পোর্টস চ্যানেলকে জানিয়েছেন।
এক সাক্ষাৎকারে হিগুয়াইন বলেছেন, “শেষ পর্যন্ত তারা ঠিক কাজটি করল।”
আর্জেন্টিনার গণমাধ্যমও ম্যাচ বাতিল নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তবে এ বিষয়ে ইসরায়েলি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দাপ্তরিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রীতি ওই ম্যাচটি যেন বাতিল না হয় সেই লক্ষে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মাউরিসিও মাকরিকে ফোন করেছিলেন।
শনিবার জেরুজালেমে প্রীতি ওই ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল।
ম্যাচ বাতিলের খবর আসার সঙ্গে সঙ্গেই গাজার বাসিন্দারা উল্লাসে ফেটে পড়েন। গাজায় সাম্প্রতিক প্রতিবাদের সময় ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ১২০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছিল।
ফিলিস্তিনের রামাল্লা থেকে ফিলিস্তিনি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ম্যাচ বাতিলের জন্য আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার লিওনেল মেসি ও তার সহখেলোয়াড়দের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে প্রকাশিত উদ্ধৃতিতে ফিলিস্তিনি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন চেয়ারম্যান জিবরিল রাজৌব বলেছেন, “মূল্যবোধ, সুনীতি ও খেলা আজ একটি বিজয় নিশ্চত করল, এই খেলা বাতিলের মাধ্যমে ইসরায়েলেকে একটি লাল কার্ড দেখানো হলো।”
এ বিষয়ে বুধবার একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানিয়েছেন রাজৌব। যিনি খেলা বাতিলের আগে ফিলিস্তিনিদের মেসির জার্সি ও রেপ্লিকা পোড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আর্জেন্টিনা-ইসরায়েল ম্যাচ বাতিলের জন্য প্রচারণা চালানো গোষ্ঠী আভাজ এ সিদ্ধান্তকে ‘সাহসী নৈতিক সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করে এর প্রশংসা করেছে।
আভাজের প্রচারণা পরিচালক অ্যালিস জে বলেছেন, “যেখান থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে ইসরায়েলি স্নাইপারা নিরস্ত্র প্রতিবাদকারীদের গুলি করছে, সেখানে জেরুজালেমে খেলার মধ্যে যে বন্ধুত্বের কোনো বিষয় নেই আর্জেন্টিনা তা বুঝতে পেরেছে বলে এটি প্রমাণ করেছে।”
চলতি মাসে রাশিয়ায় শুরু হওয়া বিশ্বকাপের আগে আর্জেন্টিনার শেষ প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ ছিল এটি। পশ্চিম জেরুজালেমের একটি স্টেডিয়ামে খেলাটি হওয়ার কথা ছিল।