ভারতের জন্য ‘প্যাসিফিক কমান্ডে’র নাম পরিবর্তন যুক্তরাষ্ট্রের

পেন্টাগনের কাছে ভারতের বাড়তে থাকা গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে নিজেদের ‘প্যাসিফিক কমান্ড’ এর নাম পরিবর্তন করে ‘ইউ.এস. ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড’ নামকরণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 May 2018, 04:20 AM
Updated : 31 May 2018, 05:46 AM

বুধবারের এই পরিবর্তন বহুলাংশে প্রতীকী বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

বৃহত্তর প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের সামরিক তৎপরতা দেশটির প্যাসিফিক কমান্ডের অধীন। এই অঞ্চলে দায়িত্ব পালনের জন্য কমান্ডের তিন লাখ ৭৫ হাজার সামরিক ও বেসামরিক সদস্য রয়েছে। ভারতও এই অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।

আগে থেকেই প্রস্তুত করে রাখা ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস বলেছেন, “আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে আমাদের প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরীয় মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হয়েছে।

“ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে বাড়তে থাকা সংযোগের স্বীকৃতি দিতে আজ আমরা ইউ.এস. প্যাসিফিক কমান্ডের নাম পরিবর্তন করে ইউ.এস. ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড করলাম।”

কমান্ড পরিবর্তনের এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। নতুন নামকরণ করা কমান্ডের দায়িত্ব পেয়েছেন অ্যাডমিরাল ফিলিপ ডেভিডসন।

সাবেক ইউ.এস. প্যাসিফিক কমান্ডের দায়িত্বে থাকা অ্যাডমিরাল হ্যারি হ্যারিসকে দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ভারতের বাড়তে থাকা সামরিক প্রাসঙ্গিকতা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, নতুন এই নামকরণের মাধ্যমে সেই স্বীকৃতিই এসেছে। তবে এই পরিবর্তনের পরও ওই অঞ্চলে অতিরিক্ত কোনো সম্পদ সরবরাহ করছে না যুক্তরাষ্ট্র।

২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত একটি সমঝোতা চুক্তি করে, তাতে উভয়ে উভয়ের স্থল, বিমান ও নৌ ঘাঁটি মেরামত ও পুনঃসরবরাহ কাজে ব্যবহার করতে পারবে বলে স্বীকৃত হয়। এর মাধ্যমে উভয় দেশ চীনের বাড়তে থাকা নৌশক্তির মোকাবিলায় প্রতিরক্ষা মিত্রতা গড়ে তোলার দিকে অগ্রসর হয়। 

পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বিশাল প্রতিরক্ষা বাজারে প্রবেশ করতেও আগ্রহী। দেশটি এরইমধ্যে ভারতের দ্বিতীয় প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী দেশে পরিণত হয়েছে।