উ. কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক যথাসময়ে হবে: ট্রাম্প

সিঙ্গাপুরে পূর্বনির্ধারিত সময়েই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2018, 01:08 PM
Updated : 27 May 2018, 01:08 PM

শনিবার ওভাল অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “আমরা ১২ জুন সিঙ্গাপুরে বৈঠকের অপেক্ষায় আছি। তারিখ ও স্থান পরিবর্তন হয়নি।

“অনেক মানুষ ওই বৈঠক নিয়ে কাজ করছেন। সম্মেলনের প্রস্তুতি খুব সুন্দরভাবে এগিয়ে চলেছে।”

বৈঠকটি যথাসময়ে অনুষ্ঠানের জন্য উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে খুবই ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। এক টুইটে তিনি বলেন, বৈঠকটি এখনো ১২ জুনেই হতে পারে এবং প্রয়োজন হলে এরপরও বৈঠক চালানো যেতে পারে।

গত সপ্তাহজুড়ে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ বৈঠককে কেন্দ্র করে চলা কূটনৈতিক উত্থান-পতনের কারণে যে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছিল তা দুই কোরিয়ার শীর্ষ নেতার আকস্মিক বৈঠকে অনেকটাই কেটে গেছে।

শনিবার বিকালে কোরীয় সীমান্তবর্তী অসামরিক গ্রাম পানমুনজোমে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন আকস্মিক বৈঠক করেন।

বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে মুন বলেন,কোরীয় উপদ্বীপ পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পরিকল্পিত বৈঠক ‘সম্পূর্ণ’ করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং- উন।

“আগামী ১২ জুনের শীর্ষ সম্মেলন সফল করার বিষয়ে আমি এবং উত্তর কোরিয়ার চেয়ারম্যান কিম একমত হয়েছি। কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করে চিরস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনার দ্বার রুদ্ধ করা উচিত হবে না।”

অথচ গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ১২ জুন বৈঠক করবেন না বলে জানিয়েছিলেন।  এজন্য তিনি পিয়ংইয়ংয়ের কর্মকর্তাদের আক্রমণাত্মক  মন্তব্য এবং দেশটি নিজেদের পরমাণু অস্ত্র প্রকল্পের কাজ বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি রাখবে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগকে দায়ী করেছিলেন।

যদিও ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই উত্তর কোরিয়া সংহতির সুরে বলেছিল, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘যে কোনো সময়’ কথা বলতে প্রস্তুত।

শনিবার উত্তর কোরিয়ার এ সম্প্রীতিমূলক বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়ে ট্রাম্প বৈঠকটি হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন।

রোববার মুন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে ‘খুব শিগগিরই’ কিছু বস্তুগত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। ওই আলোচনায় যে ফল বেরিয়ে আসবে সেগুলো নিয়েই ১২ জুনের সম্মেলন এগিয়ে যাবে।

“উভয় আলোচনায়ই খুব মসৃণ পথে হবে বলে আমি আশা করছি।”