স্থানীয় সময় গত বুধবার সন্ধ্যার ওই ঘটনায় আহত ২৫ জনকে পরে লিবিয়ার বনি ওয়ালিদ শহরের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
পাচারকারীদের ছোড়া গুলিতে অন্তত ১৫ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি নারীসহ কয়েক ডজন অভিবাসনপ্রত্যাশী দলছুট হয়ে যায় বলে জেনেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস নামে বেশি পরিচিত এমএসএফ।
সমুদ্রপথে ইউরোপে পাড়ি জমাতে ইচ্ছুক সাব-সাহারান আফ্রিকানদের অন্যতম প্রধান পথ লিবিয়া। ২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকেই দেশটির পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে আছে।
ভিন্ন ভিন্ন আধাসামরিক বাহিনী ও দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সরকারের মধ্যে ক্ষমতা বিভক্ত হয়ে পড়ার কারণে দেশটিতে বেআইনী কর্মকাণ্ডের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলছে।
এমএসএফ বলছে, বনি ওয়ালিদ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়াদের বেশিরভাগই ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া ও সোমালিয়ার নাগরিক।
মানবপাচারকারীদের বিভিন্ন গোষ্ঠী বন্দিদশায় থাকা ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশী কিশোরদের বিক্রি করে দেয় এবং এদের কেউ কেউ এ বন্দিদশায় তিন বছর ধরেও ছিল বলে জেনেছে ফ্রান্সভিত্তিক এ দাতব্য সংস্থাটি।
আহতদের মধ্যে সাতজনকে বন্দুকের গুলির জখম ও হাড় ভাঙাজনিত গুরুতর আঘাতের চিকিৎসা দেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় বাকি ১৮ জনকে।
চিকিৎসাপ্রাপ্তদের এখন ত্রিপোলির হাসপাতাল কিংবা লিবিয়ার বিভিন্ন আটকাদেশ কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হচ্ছে বলে ধারণা এমএসএফের।
“তাদের চিকিৎসায় সব ধরনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা উচিত; ভয়াবহ ওই বর্বরতা থেকে বেঁচে ফেরা এই উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের সুরক্ষায়ও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। হরেদরে আটক করা কোনো সমাধান হতে পারে না। তাদের দরকার জরুরি ভিত্তিতে সুরক্ষা ও সহায়তা,” বলেছেন লিবিয়ার এমএসএফ মিশনের প্রধান ক্রিস্টোফ বিটু।