আমস্টারডাম থেকে কুয়ালালামপুর যাওয়ার পথে ২০১৪ সালের জুলাইয়ে বোয়িং ৭৭৭ ঘরানার বিমানটি ভূপাতিত হয়ে ২৯৮ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছিলেন।
এমএইচ১৭ বিধ্বস্তের কারণ হিসেবে আগেই রাশিয়ায় নির্মিত বাক ক্ষেপণাস্ত্রকে দায়ী করা হলেও আন্তর্জাতিক কোনো তদন্ত দল এবারই প্রথম এর সঙ্গে রুশ কোনো বাহিনীর সংশ্লিষ্টতা পেল বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ইউক্রেইনে রুশপন্থি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রেই মালয়েশীয় বিমানটি দোনেৎস্কে বিধ্বস্ত হয় বলে প্রাথমিক তদন্ত শেষে ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে জানিয়েছিল জয়েন্ট ইনভেস্টিগেশন টিম (জেআইটি)।
যৌথ এ তদন্ত দলটি নেদারল্যান্ডস ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, মালয়েশিয়া ও ইউক্রেইনের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠন করা হয়।
বৃহস্পতিবার জেআইটির এক কর্মকর্তা জানান, রাশিয়ায় নির্মিত যে বাক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল, সেটি রাশিয়ার কার্সক শহরের ফিফটি থার্ড এন্টি-এয়ারক্রাফট ব্রিগেডই সরবরাহ করেছিল বলে নিশ্চিত হয়েছেন তারা।
“কনভয়ের যেসব যানবাহনে করে ক্ষেপণাস্ত্রটি বহন করে আনা হয়েছিল, সেটিও রুশ সশস্ত্রবাহিনীর অংশ ছিল,” বলেন তদন্ত দলের ডাচ কর্মকর্তা উইলবার্ট পলিসেন।
নেদারল্যান্ডসে হওয়া সংবাদ সম্মেলনে জেআইটির সদস্যরা ক্ষেপণাস্ত্রবাহী কনভয়টি পূর্ব ইউক্রেইনে পৌঁছেছিল, তারও কিছু ছবি প্রকাশ করেন।
পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা আগেও এমএইচ১৭ বিধ্বস্তের পেছনে রাশিয়াকেই দায়ী করেছিলেন। যদিও মস্কো শুরু থেকেই তাদের কোনো অস্ত্রে এমএইচ১৭ ধ্বংস হয়নি বলে দাবি জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার জেআইটি তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমএইচ১৭ ভূপাতিত করার ঘটনায় তাদের কোনো বাহিনী যে জড়িত ছিল না তা পুনর্ব্যক্ত করে।
“রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে একটিও বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা রাশিয়া-ইউক্রেইন সীমান্ত অতিক্রম করেনি,” বলেছে মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।