কিমের সঙ্গে বৈঠক বাতিল ট্রাম্পের

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে পরিকল্পিত বৈঠক বাতিল করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

>>রয়টার্স
Published : 24 May 2018, 02:00 PM
Updated : 24 May 2018, 06:27 PM

উত্তর কোরিয়ার নেতার সাম্প্রতিক বিবৃতিতে ‘তীব্র ক্ষোভ ও প্রকাশ্য শত্রুতা’ প্রকাশিত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

আগামী ১২ জানুয়ারি সিঙ্গাপুরে কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকে বসার দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।

বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে তিনি বলেছেন, “সেখানে আপনার সঙ্গে মিলিত হতে আমি খুব উদগ্রীব ছিলাম। তবে দুঃখজনক, আপনার সাম্প্রতিক বিবৃতিতে তীব্র ক্ষোভ ও প্রকাশ্য শত্রুতা প্রকাশিত হওয়ায় আমি মনে করছি, এই সময়ে দীর্ঘ পরিকল্পিত এই বৈঠক সঠিক হবে না।”

কয়েক দশক ধরে মুখোমুখি অবস্থানে থাকা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনের সঙ্গে কিম জং উনের বৈঠকের পর কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ফেরার আশা করা হচ্ছিল। দুই নেতা বৈরিতার অবসান ঘটিয়ে কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করতে একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

এরপর উত্তর কোরিয়া সফর করেন দক্ষিণ কোরিয়ার দীর্ঘ দিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। এরপরে উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে বৈঠকের তারিখ ও স্থান নির্ধারিত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

তবে তারপরেও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া নিয়ে আপত্তি করছিল পিয়ংইয়ং। হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম।

তাকে জবাব দিয়ে চিঠিতে ট্রাম্প লিখেছেন, “আপনি আপনাদের পরমাণু সক্ষমতার কথা বলেছেন। তবে আমাদেরটা এত বিপুল ও শক্তিশালী যে, আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যেন সেগুলো কখনও ব্যবহার করতে না হয়।”

ট্রাম্প এই চিঠি পাঠানোর আগে বৃহস্পতিবারই যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের  এক হুঁশিয়ারি উড়িয়ে দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তা কোয়ে সন-হুই। তিনি বলেছেন, উত্তর কোরিয়া আলোচনার জন্য ‘ভিক্ষা’ চাইবে না। কূটনীতি ব্যর্থ হলে ‘পরমাণু অস্ত্র প্রদর্শনের’ হুমকি দেন তিনি।

 

উত্তর কোরিয়ার পরিণতিও লিবিয়ার মতো হতে পারে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন পেন্স।

আট বছর আগে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শুরু হওয়া কথিত ‘আরব বসন্তের’ ঢেউ লেগেছিল লিবিয়ায়। দেশটির নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ থেকে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ, এক পর্যায়ে সেখানে বোমা হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা।

২০১১ সালে পশ্চিমাদের হামলায় পর্যুদস্ত হয়ে পালানোর পথে নিজের দেশের বিদ্রোহীদের হাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন গাদ্দাফি।