বিরোধীদের নির্বাচন বয়কট ও ভোট কারচুপির অভিযোগের কারণে ভেনেজুয়েলার এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের।
গুরুতর অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে সৃষ্ট খাদ্য সংকটের মধ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মাত্র ৪৬ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রধান বিরোধীদলীয় প্রার্থী হেনরি ফালকন নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন।
“আমরা এই নির্বাচনকে বৈধ বলে স্বীকার করছি না, ভেনেজুয়েলায় নতুন নির্বাচন দিতে হবে,” বলেছেন তিনি।
৯০ শতাংশ ভোট গণনার পর নির্বাচন কাউন্সিলের প্রধান তিবিসে লুসেনা জানান, মাদুরো ৬৭ দশমিক সাত শতাংশ ভোট পেয়েছেন এবং ফালকন পেয়েছেন ২১ দশমিক দুই শতাংশ ভোট।
নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর কারাকাসের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে উল্লাসরত সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মাদুরো বলেন, “তারা আমাদের অবমূল্যায়ন করেছিল।”
এ সময় মাদুরোর সমর্থকরা আঁতশবাজি পুড়িয়ে ও শূন্যে কনফেত্তি ছুঁড়ে উৎসব করছিল।
অধিকাংশ বিরোধীদল নির্বাচন বয়কট করলেও সরকারি কর্মকর্তারা নির্বাচন ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
অপরদিকে মাদুরোর পক্ষে ভোট কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ফালকন। রাষ্ট্রের ইস্যুকৃত বেনিফিট কার্ড স্ক্যানের সময় ঘাপলা হয়েছে বলে অভিযোগ তার।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই ফলাফল মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।
ভোটের আগে জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের মিশন এক টুইটে ভেনেজুয়েলার নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ‘গণতন্ত্রের জন্য অপমান’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
ভেনেজুয়েলার এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভেনেজুয়েলার জাতীয় সাংবিধানিক পরিষদ আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়।
জাতীয় সাংবিধানিক পরিষদ শুধু মাদুরোর সমর্থকদের নিয়েই গঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।