বিবিসি জানায়, চীনের এ উদ্যোগের ফলে বেইজিংয়ের সঙ্গে বার্ষিক ৩৩ হাজার ৫শ’ কোটি মার্কিন ডলার বাণিজ্য ঘাটতি ‘উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস’ পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পক্ষ থেকে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, “উভয় পক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি ও শক্তি পণ্য রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে একমত হয়েছে। এ উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।”
তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনের পণ্য আমদানি বাড়ানোর নতুন এ উদ্যোগে বাণিজ্য ঘাটতি ঠিক কি পরিমাণ হ্রাস পাবে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
যদিও এর আগে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা ২০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার বলেছিল। তবে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।
দুই দেশ পরস্পরের পণ্যের উপর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার শুল্কারোপের যে হুমকি দিয়েছে সেগুলো বিলম্বিত বা বাতিল হবে কিনা সে বিষয়েও বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি।
উভয় দেশই পরস্পর থেকে পণ্য আমদানির ওপর মোটা অংকের শুল্কারোপ করেছে। যদিও সেগুলো এখনো কার্যকর হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের উপর ১৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলার শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছেন।
ট্রাম্পের অভিযোগ, চীন ‘আমেরিকান ইনটালেকচ্যুয়াল প্রপার্টি’ চুরি করছে।