কর্নাটকে সরকার গঠনে ব্যর্থ বিজেপি, ক্ষমতায় আসছে বিরোধীরা

ভারতের কর্নাটক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার দুই দিনের মাথায় আস্থা ভোটের মুখোমুখি না হয়েই পদত্যাগ করেছেন বিজেপির নেতা বি. এস. ইয়াদুরাপ্পা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 May 2018, 08:26 AM
Updated : 20 May 2018, 05:23 PM

আস্থা ভোটে বিজেপির সংখ্যালঘু সরকার জিততে পারবে না, এটি পরিষ্কার হওয়ার পরই দিল্লি থেকে পাওয়া নির্দেশ অনুযায়ী শনিবার ইয়াদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদ্যতাগ করেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স, আনন্দবাজার পত্রিকা।

আগামী বুধবার কর্নাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিবেন কংগ্রেস- জনতা দল (সেকুলার) জোটের নেতা এইচ.ডি. কুম্বারস্বামী। এ দিন রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হতে পারে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।  

উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন কংগ্রেসের দলিত বিধায়ক জি. পরমেশ্বর। রাজ্য সরকারে কংগ্রেস ও জেডি (এস) দলের সমসংখ্যক মন্ত্রী থাকবে, এমন সমঝোতা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

কান্তিরাভা স্টেডিয়ামের শপথ অনুষ্ঠানটি আরও কয়েকটি উদ্দেশ্য সাধন করবে বলে খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের। এই অনুষ্ঠান ভারতের বিরোধী দলগুলোর নেতাদের ঐক্যও তুলে ধরবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নতুন মুখ্যমন্ত্রীর শপথের জন্য প্রথমে সোমবার নির্ধারণ করা হলেও সেটি ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেস দলের সাবেক নেতা রাজীব গান্ধির মৃত্যুর দিন হওয়ায় অনুষ্ঠানের দিনটি পেছানো হয়।

কুমারস্বামী জানিয়েছেন, তিনি নিজে দিল্লি গিয়ে কংগ্রেস দলের সভাপতি রাহুল গান্ধিকে শপথ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ জানিয়ে আসবেন। 

এই অনুষ্ঠানে ভারতের আঞ্চলিক কয়েকটি দলের প্রভাবশালী নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে উত্তর প্রদেশের বহুজন সমাজবাদী দলের মায়াবতী, সমাজবাদী দলের অখিলেশ যাদব, কর্নাটকের প্রতিবেশী রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন. চন্দ্রবাবু নাইডু ও তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে. চন্দ্রশেখর রাও এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন।

কর্নাটক বিধানসভার আসন সংখ্যা ২২৫টি। এরমধ্যে ১০৪টি বিজেপির দখলে থাকলেও কংগ্রেস-জেডি (এস) জোটের সম্মিলিত আসন ১১৭টি। সরকার গড়তে ১১২ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন।

কর্নাটকের রাজ্যপাল বিজেপিকে সরকার গঠন করার আহ্বান জানানোর পর রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বৃহস্পতিবার শপথ নিয়েছিলেন ইয়াদুরাপ্পা। কিন্তু প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগার করতে না পারায় আস্থা ভোটের আগেই পদত্যাগ করেন তিনি।

বর্তমানে ভারতের ২৯টি রাজ্যের মধ্যে ২১টিতে বিজেপির শাসন চলছে। কর্নাটকে শাসক ও বিরোধী শিবিরের আসনের ব্যবধান অল্প হওয়ার কারণে বিজেপি কংগ্রেস-জেডি (এস) জোট সরকারের পতন ঘটানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।