কর্নাটকে বিজেপি’কে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ আদালতের

ভারতের কর্নাটক রাজ্যে নির্বাচনী ফল ঘোষণার পর নতুন মোড় নিয়েছে রাজনীতি। সরকার গড়া নিয়ে চলছে লড়াই। এর প্রেক্ষিতেই রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বি এস ইয়েদুরাপ্পাকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 May 2018, 06:53 PM
Updated : 18 May 2018, 07:25 PM

শনিবার বিকাল ৪ টার মধ্যেই বিধানসভায় আস্থাভোটে শক্তির এ পরীক্ষা দিতে হবে তাকে। কর্নাটকে শক্তিপরীক্ষায় রাজ্যপাল বাজুভাই বালার দেওয়া ১৫ দিন সময়সীমা খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট নতুন এ সময় বেঁধে দিয়েছে ।

ইয়েদুরাপ্পা বৃহস্পতিবার শপথ নেওয়ার পর রাজ্যপাল তাকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ১৫ দিন সময় দেন। কিন্তু এত সময় পেলে বিজেপি অন্যদলের বিধায়কদের যেকোনোভাবে দলে টানার চেষ্টা করবে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করে।

এ নিয়ে কংগ্রেসের আবেদনের ভিত্তিতে  সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবারএক রায়ে  বিজেপি কে আস্থাভোটের নতুন সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে।

কংগ্রেস পার্টির সভাপতি রাহুল গান্ধী সুপ্রিম কোর্টের রায় তার দলের দাবিরই 'যথার্থতা' প্রমাণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন।

সুপ্রিম কোর্টে কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, কর্নাটকে বিজেপি’কে সরকার গড়ার আহ্বান জানিয়ে রাজ্যপাল অসাংবিধানিক কাজ করেছেন।

কারণ, গত শনিবার ২২৫ আসনের কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ১১২টি আসন না পেলেও রাজ্যপাল বিজেপি’কেই সরকার গড়ার আমন্ত্রণ জানান।

বিজেপি একক বৃহত্তম দল হিসাবে সরকার গড়তে তৎপর হয়েছিল। অন্যদিকে, কংগ্রেস আঞ্চলিক দল জেডিএস এর সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়ার দাবি জানিয়েছিল।

কংগ্রেস-জেডিএস এর দাবি, তাদের বিধায়ক সংখ্যা ১১৭; আর বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা ১০৪। তারপরও রাজ্যপাল কংগ্রেস জোটকে সরকার গড়তে না ডেকে অসাংবিধানিক কাজ করেছেন।

ফলে রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হয় কংগ্রেস। এখন রায়ের পর রাহুল বলেছেন, বিজেপি তাদের যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে বলে সবাইকে ধোকা দিচ্ছিল তা এবার ধরা পড়বে।

ওদিকে, বিজেপি নেতা ইয়েদুরাপ্পার পক্ষ  থেকে জানানো হয়েছে, তিনি বিধানসভায় শক্তির পরীক্ষা দিতে রাজি। কংগ্রেস-জেডিএস এর বিধায়ক সংখ্যা ১১৭ হওয়ার কারণে বিজেপি’কে এখন সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে গেলে এ জোটে ভাঙন ধরাতে হবে।

একারণে এখন জোটের বিধায়কদের একতাবদ্ধ রাখাটাই কংগ্রেস ও জেডিএস এর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

ইয়েদুরাপ্পা অবশ্য দাবি করছেন, তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের ভোটে জিতবেনই। এজন্য তাকে ১৫ দিনও অপেক্ষা করতে হবে না। তবে কিভাবে জিতবেন তা বলেননি তিনি।