রাশিয়া-ক্রিমিয়া সেতু উদ্বোধন করলেন পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজে একটি ট্রাক চালিয়ে দেশটির সঙ্গে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সংযোগ সেতু উদ্বোধন করেছেন।

>>রয়টার্স
Published : 16 May 2018, 04:43 PM
Updated : 16 May 2018, 04:43 PM

বিতর্কিত এ সেতুর মধ্য দিয়ে রাশিয়ার দক্ষিণে ক্রাসনদার অঞ্চলের সঙ্গে ক্রিমিয়ার কেরচ নগরীর সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে।

এ সেতুর মাধ্যমে ক্রিমিয়ার সমুদ্র পথে পরিবহনের ওপর নির্ভরতা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি উদ্বোধন করেন পুতিন। পর্তুগালের ‘ভাস্কো দ্য গামা’ ব্রিজকে পেছনে ফেলে এটিই এখন ইউরোপের সবচেয়ে দীর্ঘ সেতু। সেতুটিতে রেলপথও রয়েছে।

সেতুটি নির্মাণে ৩ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে।

ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৮ সালের শেষ নাগাদ সেতুর ওপর দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তার কাজ পুরোপুরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও বুধবার থেকেই সেটি যান চলাচলে জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে।

আর সেতুটির রেলপথের কাজ ২০১৯ সালে শেষ হবে বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।

প্রতিবেশী ইউক্রেইন শুরু থেকেই সেতু নির্মাণের সমালোচনা করে আসছে। তাদের দাবি, সেতুর নির্মাণ কাজের কারণে সমুদ্রের প্রকৃতিক পরিবেশ বিনষ্ট হয়েছে।

এছাড়া, সেতুটির কারণে বড় আকৃতির জাহাজ ‘আজভ সি’ হয়ে তাদের বন্দরগুলোতে যেতে পারবে না।

২০১৪ সালে ইউক্রেইনে গৃহযুদ্ধের সময় রাশিয়া ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয়। বর্তমানে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং সশস্ত্রদল ওই অঞ্চল শাসন করছে।

রাশিয়ার সঙ্গে পুনরায় সংযুক্ত হওয়া নিয়ে এক গণভোটে ক্রিমিয়ার বেশিরভাগ মানুষ সংযুক্তির পক্ষে মত দেয়। যদিও ইউক্রেইনের সাংবিধানিক আদালত ওই গণভোট অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছে।

ইউক্রেইন ও পশ্চিমা দেশগুলো অবৈধভাবে ক্রিমিয়ার দখল নেওয়ার নিন্দা জানিয়ে আসছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র সেতুটি নির্মাণ কাজে জড়িত কোম্পানি ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।