তেল আবিব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মধ্যেই গুয়াতেমালা একই পথে হাঁটল।
মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধনের দুইদিন পর বুধবার গুয়াতেমালা জেরুজালেমে দূতাবাস খুলেছে।
গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট জিমি মোরালেস এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পশ্চিম জেরুজালেমে দূতাবাস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে নেতানিয়াহু বলেন, “গুয়াতেমালা শুরুতেই জেরুজালেমে তাদের দূতাবাস উদ্বোধন করবে, এতে অবাক হওয়া কিছু নেই। আপনারা সব সময়ই শুরুর দিকে ছিলেন। আপনারাই দ্বিতীয় দেশ যারা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।”
অন্যদিকে মোরালেস বলেন, গুয়াতেমালা, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র ‘সব সময় পরষ্পরের প্রতি মিত্রতা, সাহস ও আস্থা বিনিময়’ করে আসছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা গত সোমবার জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধন করেন। এর প্রতিবাদে সেদিন গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বিক্ষোভ করেছে।
বিক্ষোভ দমাতে ইসরায়েলি সেনাদের ছোড়া গুলিতে অন্তত ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। যা নিয়ে জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করেছে।
ইসরায়েলের সেই নৃশংস হত্যাযজ্ঞের রেশ না কাটতেই আবার আগুনে ঘি ঢালল গুয়াতেমালা।
ঊর্ধ্বতন ফিলিস্তিনি আলোচক সায়েব ইরাকাত এ পদক্ষেপের নিন্দা করে বলেছেন, “গুয়াতেমালা সরকার ইতিহাসের ভুল দিকটিতেই অবস্থানের পথ বেছে নিয়েছে। তারা আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের পথে হেঁটেছে এবং ফিলিস্তিন ও আরব বিশ্বের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে।”
ইসরায়েল জেরুজালেমকে তাদের একক রাজধানী দাবি করে। অন্য দিকে পূর্ব জেরুজালেমকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী করতে চায় ফিলিস্তিনিরা।
এ নিয়ে বিরোধের মধ্যেই গত বছর ডিসেম্বরে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের ঘোষণা দিয়ে কার্যত ইসরায়েলের দাবিকে সমর্থন দেন ট্রাম্প।