দেশটিতে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) চালানো প্রথম ওই প্রাণঘাতী হামলায় ১৮ জন নিহত হয়েছিলেন।
রোববার ইরানের বিপ্লবী আদালত ওই হামলার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত আট জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
দণ্ডপ্রাপ্তরা চাইলে ইরানের সর্বোচ্চ আদালতে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বিপ্লবী আদালতের প্রধান মুসা গজনফারাবাদি।
হতাহতদের পরিবারের সদস্যরা ওই হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছে। আদালত পরে সেসব অভিযোগও শুনবে বলে জানিয়েছেন গজনফারাবাদি।
সুন্নি মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসকে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবই মদত দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ শিয়া মুসলিম প্রধান ইরানের।
ওয়াশিংটন ও রিয়াদ শুরু থেকেই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
গত বছরের জুনে তেহরানের পার্লামেন্ট ভবন ও খোমেনির মাজারে আইএসের আত্মঘাতী হামলাকারী ও বন্দুকধারীরা নজিরবিহীন ওই হামলা চালায়। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে পাঁচ হামলাকারী নিহত হয়। নিহতরা সিরিয়া ও ইরানে আইএসের হয়ে যুদ্ধ করেছিল বলে জানিয়েছে ইরান।
তেহরানের ওই সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক আরও ১৮ জনের বিচার বাকি আছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস ২০১৪ সালে সিরিয়া ও ইরাকের বিশাল অংশ দখল করে স্বাধীন খিলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধারাবাহিক যুদ্ধে তারা বেশিরভাগ অংশেরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।