সুইজারল্যান্ডে জীবনাবসান ঘটালেন ১০৪ বছরের বিজ্ঞানী

স্বেচ্ছামৃত্যু কার্যকর করতে অস্ট্রেলিয়া থেকে সুইজারল্যান্ডে যাওয়া ১০৪ বছর বয়সী  বিজ্ঞানী ডেভিড গুডাল শেষ পর্যন্ত জীবনের অবসান ঘটিয়েছেন।

>>আইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 May 2018, 02:06 PM
Updated : 10 May 2018, 04:09 PM

বাসেলের লাইফ সার্কেল সুইস ক্লিনিকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রাণনাশক ওষুধের সাহায্যে বৃহস্পতিবার তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

স্বেচ্ছামৃত্যু অধিকার সংগঠন এক্সিট ইন্টারন্যাশনাল একথা জানিয়েছে। গুডাল এ সংগঠনের দীর্ঘদিনের সদস্য ছিলেন।

মৃত্যুর আগে গুডালের পরিবারের সদস্যরা এবং স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকারের পক্ষের উকিল তাকে শেষবারের মত আরেকবার তার সিদ্ধান্ত ভেবে দেখতে বলেছিলেন। গুডালকে মত বদলানোর জন্য চাপও দিয়েছিলেন পরিজনরা।

কিন্তু গুডাল মৃত্যুবরণ করতে চাওয়ারই অটল সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেন, “আমি আর বেঁচে থাকতে চাই না। এ জীবন শেষ করার একটি সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত।”

অস্ট্রেলিয়ায় স্বেচ্ছামৃত্যুর আইনি স্বীকৃতি না থাকায় মরার জন্য সুইজারল্যান্ডে পাড়ি দিয়েছিলেন বিশ্বের প্রবীণ এ বিজ্ঞানী। 

তবে তিনি কোনো রোগে আক্রান্ত হয়ে মরার সিদ্ধান্ত নেননি। বয়সের কারণে শরীর ভেঙে যাওয়ায় তার বেঁচে থাকার আর কোনো ইচ্ছা ছিল না।

পরিবেশ ও উদ্ভিদবিদ ডেভিড গুডাল অস্ট্রেলিয়ার পার্থে এডিথ কাওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দশক ধরে গবেষণা সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন ।

কিন্তু ১০২ বছর বয়সে স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার কারণে গুডালকে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে কাজ করা বন্ধে বাধ্য হতে হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে বাড়ি থেকে কাজ করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল। তবে পরে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়ে সশরীরে কর্মস্থলে গিয়ে কাজ করার অধিকার আদায় করে নিয়েছিলেন গুডাল।

৭০ বছরেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে পরিবেশ নিয়ে শতাধিক গবেষণাপত্র লিখেছিলেন গুডাল। অবসরের পর তিনি ‘ইকোসিস্টেমস অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ বুক সিরিজের ৩০ টি পান্ডুলিপি সম্পাদনা করেন। ২০১৬ সালে গুডাল অস্ট্রেলিয়ার সম্মানজনক ‘অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া’ মেডেলও পেয়েছিলেন।

জন্মসূত্রে ব্রিটিশ এই বিজ্ঞানী মনে করতেন তার মতো বুড়ো মানুষদের জন্য নাগরিকত্বের পাশাপাশি সরকার পক্ষ থেকে আত্মহত্যা করার অধিকারও দেওয়া উচিত।