দেশটির পরিবেশমন্ত্রী জোশ ফ্রাইডেনবার্গ বলেন, “পলিমাটি, নাইট্রোজেন ও কীটনাশকের কারণে গ্রেট ব্যারিয়ের রিফ হুমকির মুখে।”
সমুদ্র তলদেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও স্টারফিশের কারণে গত কয়েক বছরে গ্রেট ব্যারিয়ের রিফ প্রায় ৩০ শতাংশ প্রবাল হারিয়েছে।
সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে প্রবাল সাদা হয়ে মারা যায়। আর ক্রাউন-অব-থ্রন্স স্টারফিশ প্রবাল খেয়ে ফেলে।
এগুলো প্রতিরোধের পাশপাশি কৃষিজমিতে ব্যবহৃত কীটনাশক সমুদ্রের পানিতে পড়া বন্ধে এবং পানির মান উন্নয়নেও এই তহবিল ব্যয় করা হবে।
মহাকাশ থেকে গ্রেট ব্যারিয়ের রিফ দেখা যায়। ১৯৮১ সালে ইউনেস্কো এই প্রবালপ্রাচীরকে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করে।
এ প্রাচীর রক্ষায় অস্ট্রেলিয়ার নতুন তহবিল ঘোষণাকে রক্ষণশীলরা স্বাগত জানালেও বলেছে, সরকারের আরো বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত জলবায়ু পরিবর্তনের দিকে।
বিশ্ব পরিবেশ সংগঠন গ্রিনপিসের অস্ট্রেলিয়া কার্যালয়ের সিইও ডেভিড রিটার টুইটারে বলেছেন, “কার্বন নির্গমণ না কমিয়ে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। আর কার্বন নির্গমন কমানো মানেই হচ্ছে কয়লা, তেল এবং গ্যাস পোড়ানো বন্ধ করা।”
তবে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ বলেছেন, প্রবালপ্রাচীর রক্ষা করা এবং তদারক করার ক্ষেত্রে তার দেশই সবচেয়ে অগ্রগামী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস দূষণ হওয়া দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া একটি। ২০১৫ সালে দেশটি ২০৩০ সালের আগেই গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ২৬ থেকে ২৮ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।