সৌদি বাদশাহর প্রাসাদের কাছে ‘ড্রোন’ নামানো হল গুলি করে

রিয়াদে বাদশাহ সালমানের প্রাসাদ এলাকায় গোলাগুলির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নানা গুঞ্জনের জন্ম দেওয়ার পর সৌদি আরবের নিরাপত্তা বাহিনী বলেছে, গুলি করে একটি ‘ড্রোন’ নামিয়েছে তারা। 

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2018, 06:03 AM
Updated : 22 April 2018, 06:20 AM

সৌদি পুলিশের মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা এসপিএ বলেছে, স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে প্রাসাদের কাছে একটি ‘অননুমোদিত ড্রোনের’ উপস্থিতি ধরা পড়ে। নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ম অনুযায়ী সেটার ব্যবস্থা করেছে।

ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি এবং বাদশাহ সালমান সে সময় প্রাসাদে ছিলেন না বলে একজন সৌদি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।     

শনিবার রাতে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে অন্তত ৩০ সেকেন্ড ধরে গুলির শব্দ আর আলোর ঝলকানি দেখা যায়। ওই ভিডিওর সূত্র ধরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবরও আসতে শুরু করে। সৌদি আরবে কোনো অভ্যুত্থান ঘটেছে কি না, বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক দেশটির বাদশাহ বা যুবরাজের ভাগ্যে কী ঘটেছে এমন প্রশ্নও ঘুরতে শুরু করে।

রয়টার্স লিখেছে, ওই ভিডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে সৌদি আরবের একজন কর্মকর্তা বলেন, ড্রোনটি গুলি করে নামানো হয়েছে। বিনোদনের জন্য ড্রোন ওড়ানোর বিষয়ে সরকার একটি নীতিমালা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ গতবছর জুনে তার ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানকে যুবরাজ ঘোষণার পর থেকে রক্ষণশীল এই মুসলিম দেশটি বড় ধরনের পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।

৩২ বছর বয়সী যুবরাজ মোহাম্মদ সৌদি আরবের তেলনির্ভর অর্থনৈতিক কাঠামো সংস্কারের পাশাপাশি সাংস্কৃতিকভাবে তার দেশকে আরও বেশি উন্মুক্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু সরকারের সমালোচনার সুযোগও দিন দিন সঙ্কুচিত হয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।  

ছেলের অবস্থান সংহত করে গিয়ে সৌদি আরবে প্রশাসন ও সেনাবাহিনীতে কয়েক দফা বড় ধরনের রদবদল এনেছেন বাদশাহ সালমান। যুবরাজের নেতৃত্বে চালানো ‘দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে’ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, প্রিন্স আর ধনকুবেরকে কারাগারে যেতে হয়েছে। অবশ্য তাদের অধিকাংশকেই পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে মোটা টাকার বিনিময়ে।