নিহত ৩৫ বছর বয়সী প্রভাষক ফাদি আল বাচ ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক দল হামাসের সদস্য ছিলেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
শনিবার ভোর ৬টার দিকে নিজ বাসা থেকে নিকটবর্তী একটি মসজিদে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হন তিনি।
কুয়ালালামপুরের পুলিশ প্রধান মাজলান লাজিম জানিয়েছেন, মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্দুকধারী বাচকে লক্ষ্য করে ১০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে, এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “প্রাথমিক তদন্তে নিহতের শরীরে চারটি গুলির আঘাত পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে দুটি গুলির খণ্ডাংশ পাওয়া গেছে।”
সিসিটিভি ফুটেজে পালিয়ে যাওয়া সন্দেহভাজনদের দেখা গেছে; তারা প্রভাষক বাচের ওপর হামলার আগে ওই এলাকায় প্রায় ২০ মিনিট ধরে অপেক্ষা করেছিল বলে জানিয়েছেন লাজিম।
তিনি বলেন, “ওই প্রভাষকই তাদের লক্ষ্য ছিল বলে আমাদের ধারণা, কারণ ঘটনার আগে আরো দুই ব্যক্তি ওই এলাকা দিয়ে হেঁটে গেলেও তাদের ওপর হামলা হয়নি।”
প্রভাষক বাচকে হত্যার জন্য তার পরিবার ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে দায়ী করেছে।
মালয়েশীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজনদের সঙ্গে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সম্পর্ক আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ হত্যার বিষয়ে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করেননি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এর আগে বিদেশে গুপ্তহামলা চালিয়ে নিজেদের বিশেষজ্ঞদের হত্যার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছিল হামাস; তবে এ ধরনের অভিযান চালানোর কথা কখনো নিশ্চিত করেনি মোসাদ।
মালয়েশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ বলেছেন, নিহত বাচের সঙ্গে একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সম্পর্ক ছিল এবং তিনি ফিলিস্তিনপন্থি বেসরকারি সংস্থাগুলোর হয়ে তৎপরতা চালাতেন।
তার হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনরা ককেশীয় এবং তাদের সঙ্গেও বিদেশি একটি গোয়েন্দা সংস্থার সম্পর্ক আছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিন তিনি।
বেশ কয়েক বছর ধরে মালয়েশিয়ায় বসবাস করা বাচ বিদ্যুৎ প্রকৌশলের একজন প্রভাষক ছিলেন।
এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, তাদের এক সদস্য ‘গুপ্তহত্যার’ শিকার হয়েছেন। বিবৃতিতে নিহত সদস্য ‘শহীদ হয়েছেন’ বলে বলা হয়েছে।
তবে এ হত্যার জন্য সরাসরি ইসরায়েলকে দায়ী করা থেকে বিরত থেকেছে ফিলিস্তিনি রাজৈনৈতিক দলটি।