নিকারাগুয়ায় প্রতিবাদকারী-পুলিশ সংঘর্ষে তিন দিনে নিহত ১০

নিকারাগুয়ায় পেনশন পদ্ধতি সংস্কারের বিরোধিতাকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে তিন দিনে ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 April 2018, 01:47 PM
Updated : 21 April 2018, 01:47 PM

সহিংসতার জন্য ‘রক্তচোষাদের’ দায়ী করে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট রোসারিও মুরিও বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা যেত।

বিবিসি জানিয়েছে, ২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট দানিয়েল ওর্তেগা ক্ষমতায় আসার পর থেকে নিকারাগুয়ায় এটিই সবচেয়ে প্রাণঘাতী সরকারবিরোধী বিক্ষোভের ঘটনা।

পেনশন সংস্কারের বিরোধিতা করে পেনশনভোগীরা বুধবার রাজধানী মানাগুয়ার রাস্তায় নেমে এলে সহিংসতা শুরু হয়। পরেরদিন বৃহস্পতিবার প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও শ্রমিক যোগ দেওয়ার পর পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটে।

তিন দিনের সংঘাতে ১০ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি অন্তত ১০০ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা মারমুখি হয়ে উঠলে এক পুলিশ ও দুই বিক্ষোভকারী নিহত হন। ওই দিন রাতে দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

প্রতিবাদকারীদের ‘নিজেদের রাজনৈতিক এজেন্ডা চরিতার্থের জন্য রক্ত দাবি করতে থাকা রক্তচোষাদের’ সঙ্গে তুলনা করেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি রোসারিও মুরিও; তবে ‘আলোচনার দরজা খোলা আছে’ বলেও জানিয়েছেন তিনি।

দেশটির সান্দিনিস্তা সরকার জানিয়েছে, সরকারি ভবনগুলোতে আগুন দেওয়া হয়েছে। মানাগুয়ার পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসে ব্যারিকেড বসিয়েছে।

অপরদিকে সহিংসতার জন্য দাঙ্গা পুলিশ ও সরকার সমর্থকদের দায়ী করেছেন প্রতিবাদকারীরা।

স্বাধীন টেলিভিশন স্টেশনগুলো জানিয়েছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সরাসরি সম্প্রচারের পর তাদের সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।