দাউদ ইব্রাহিমের মুম্বাইয়ের সম্পত্তি জব্দ করবে সরকার

ভারতের মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের মুম্বাইয়ের সম্পত্তি জব্দ করার জন্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2018, 02:35 PM
Updated : 20 April 2018, 03:02 PM

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারক আর কে আগারওয়ালের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ দাউদ ইব্রাহিমের মা আমিনা ও বোন হাসিনা পার্কারের (দুইজনই প্রয়াত) দায়ের করা পিটিশন খারিজ করে সম্পত্তি জব্দের এ নির্দেশ দেয়।

এনডিটিভি জানিয়েছে, মুম্বইয়ের নাগপাড়ার সম্পত্তি সরকারের হস্তগত করার বিরুদ্ধে তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

নাগপাড়ায় প্রধান সম্পত্তিগুলো দাউদের হলেও সেগুলো ছিল তার মা ও বোনের নামে। কয়েক কোটি রুপির এসব সম্পত্তি দাউদ বেআইনিভাবে হাতিয়েছিলেন।

১৯৮৮ সালে এক আইন অনুসারে সরকার এ সম্পত্তিগুলো সিল করে দেয়। এ আইনবলে সরকার চোরাকারবারীদের সম্পত্তি এবং তাদের আত্মীয়দের সম্পত্তিও হস্তগত করার এখতিয়ার পায়৷ দাউদের মা ও বোন এর বিরুদ্ধেই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন৷

প্রথমে ১৯৯৩ সালে মুম্বাই হামলার পর তারা দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেন৷ ওই সময় দাউদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন এবং তখন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগ দাউদের সম্পত্তি জব্দ করার চেষ্টা নেয়।

দিল্লি হাইকোর্ট দাউদের মা ও বোনের আবেদন ১৯৯৮ সালে খারিজ করে দেয়৷ এরপর হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও যান তারা৷

কিন্তু ২০১২ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট সম্পত্তি জব্দের রায় বহাল রাখে। তাদের কাছে এতো বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কোথা থেকে এল সে প্রশ্নের জবাব না পাওয়ায় রায় বহাল রাখা হয়। আর এখন আদালত সরকারকে তা জব্দের নির্দেশ দিল।

খবরে জানানো হয়েছে, দাউদের বোন হাসিনা ও মা আমিনার নামে মোট ৭টি সম্পত্তি রয়েছে৷  এর ২টি আমিনার নামে আর ৫টি হাসিনা পার্কারের নামে৷ এসব সম্পত্তির মূল্য প্রায় কয়েক কোটি রুপি৷

২০১৭ সালের নভেম্বরে দক্ষিণ মুম্বাইয়ে দাউদের তিনটি সম্পত্তি নিলাম করে অর্থ মন্ত্রণালয়। স্মাগলার অ্যান্ড ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানিপুলেটরস আইনের আওতায় এ নিলাম করা হয়৷ এ তিনটি সম্পত্তি ছিল হোটেল রৌনক আফরোজ বা দিল্লি জাইকা, শবনম গেস্ট হাউজ ও ধামরওয়ালা বিল্ডিংয়ের ছয়টি কক্ষ৷

এর আগে যুক্তরাজ্যে দাউদের ৬.৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি জব্দ করেছে ব্রিটিশ সরকার।

দাউদ ইব্রাহিম ১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ে সিরিয়াল বোমা বিষ্ফোরোণের মূল হোতা। এছাড়াও, তিনি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আইএস ও আল-কায়েদা নিষেধাজ্ঞা কমিটির আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীর তালিকাভুক্ত।