গত সপ্তাহে কিমের সঙ্গে বৈঠকে পম্পেও ‘সুসম্পর্ক গঠন করতে পেরেছেন’ বলে বুধবার সকালে এক টুইটে জানিয়েছেন ট্রাম্প। পিয়ংইয়ং-য়ে বৈঠকটি ‘খুব নির্বিঘ্নে’ সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
টুইটে ট্রাম্প লেখেন,“মাইক পম্পেও গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করেছেন। বৈঠক খুব সাবলীল ছিল এবং ভালো সম্পর্কও স্থাপিত হয়েছে। এখন আসছে শীর্ষ সম্মেলনের (ট্রাম্প ও কিমের) বিস্তারিত খুঁটিনাটি নিয়ে কাজ চলছে। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ পুরো বিশ্বের জন্য দারুণ বিষয় হবে, উত্তর কোরিয়ার জন্যও বটে!”
পম্পেওর এই আকস্মিক সফর ২০০০ সালের পর যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ায় শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের প্রথম বৈঠক। আগামী জুনে ট্রাম্প ও কিমের বৈঠক হতে পারে।
কোরীয় উপদ্বীপে দীর্ঘদিনের যুদ্ধের অবসান ঘটাতে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি হতে পারে বলে আগেই আভাস দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন এবং কিমের মধ্যে মুখোমুখি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
১৯৫০-৫৩ পর্যন্ত দুই কোরিয়ার যুদ্ধ হয়েছিল। যুদ্ধ সমাপ্তিতে কোনো শান্তিচুক্তি না হওয়ায় উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া এখনও ‘কার্যত যুদ্ধবিরতির’ মধ্যে আছে।
যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে শান্তিচুক্তি নিয়ে দুই কোরিয়ার সম্ভাব্য আলোচনায় আগেই নিজের ‘আশীর্বাদ’ পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
কিমের সঙ্গে গোপন বৈঠক করতে যুক্তরাষ্ট্রের হবু পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও উত্তর কোরিয়া গেছেন, মঙ্গলবার ওয়াশিংটন পোস্ট প্রথম এ খবর প্রকাশ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টিলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) পরিচালক মাইক পম্পেওকে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন ট্রাম্প।
গত মাসে তিনি টিলারসনের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে এ গোয়েন্দা কর্মকর্তার নাম ঘোষণা করেন। আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নেওয়ার আগে পম্পেওকে সিনেটের অনুমোদন পেতে হবে।
এর আগে ২০০০ সালে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেডেলিন অলব্রাইট পিয়ংইয়ং গিয়ে কিম জং উনের বাবা উত্তরের তখনকার নেতা কিম জং ইলের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।
দুই মার্কিন নাগরিকের মুক্তির ব্যাপারে দেনদরবার করতে চার বছর আগে সিআইএ’র তৎকালীন পরিচালক জেমস ক্ল্যাপারও উত্তর কোরিয়ায় এক গোপন সফরে গিয়েছিলেন।
মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ ও পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির কারণে দশককাল ধরে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় থাকা উত্তর কোরিয়ার আলোচনার প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে গত মাসে বিশ্বকে বিস্ময় উপহার দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
ফেব্রুয়ারিতে পিয়ংচ্যাংয়ে হওয়া শীতকালীন অলিম্পিককে কেন্দ্র করে উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করার ধারাবাহিকতাতেই ওয়াশিংটনকে ট্রাম্প-কিম বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হয়।