জাতিসংঘের দলটির সঙ্গে থাকা এক কূটনীতিকের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।
দৌমায় বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তা তদন্তে ‘অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রহিবিশিন অব কেমিক্যাল উইপন্স’ (ওপিসিডব্লিউ) এর একটি পরিদর্শক দলের বুধবার সেখানে যাওয়ার কথা ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ওপিসিডব্লিউ’র পরিদর্শকরা দৌমায় যাওয়ার আগে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য জাতিসংঘের দলটি সেখানে যায়।
“সেখানে তারা নিরাপত্তা হুমকিতে পড়েছিলেন। এমনকি গোলাগুলিও হয়েছিল।”
এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য তিনি দেননি। জাতিসংঘ থেকেও গোলাগুলির বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সেখানে যাওয়ার পর ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। গুলির শব্দও শোনা যায়।
মঙ্গলবার জাতিসংঘে সিরিয়ার দূত বলেছিলেন, জাতিসংঘ দল যদি দৌমার পরিস্থিতি নিরাপদ মনে করে তবে বুধবার থেকে ওপিসিডব্লিউ দল সেখানে তদন্ত শুরু করবে।
ওপিসিডব্লিউ পরিদর্শকদের দৌমায় যাওয়া পিছিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলেও কবে নাগাদ তারা সেখানে যেতে পারেন সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। গত শনিবার দলটি সিরিয়ার দামেস্কে পৌঁছায়।
গত ৭ এপ্রিল পূর্ব গৌতার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ শহর দৌমায় রাসায়নিক হামলার অভিযোগ ওঠে। সেখানে প্রায় ৭০ জন শ্বাসকষ্টে মারা যায়। অসুস্থ হয় আরও পাঁচশতাধিক মানুষ।
শ্বাসকষ্টসহ তাদের শরীরে বিষাক্ত রাসায়নিকের প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট নানা জটিলতা দেখা গিয়েছিল বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
পশ্চিমা দেশগুলো রাসায়নিক হামলার জন্য সিরীয় বাহিনী ও রাশিয়াকে দায়ী করে এর জবাব দিতে গত শনিবার সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।