রুশ প্রভাব ঠেকাতে পশ্চিমাদের কথায় ওয়াহাবিবাদের প্রচার: সৌদি প্রিন্স
নিউজ ডেস্ক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 29 Mar 2018 06:04 PM BdST Updated: 29 Mar 2018 08:55 PM BdST
-
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ছবি: রয়টার্স
যে ওয়াহাবিবাদকে সন্ত্রাসের আঁতুরঘর হিসেবে এখন পশ্চিমারা দেখছে, তারাই এক সময় সমাজতন্ত্র ঠেকাতে এর প্রচারে উৎসাহিত করেছিলেন বলে দাবি করেছেন সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
যুক্তরাষ্ট্রে সফরে ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই দাবি করেন, যা বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে।
সৌদি আরবে ক্ষমতাধর হয়ে উঠে সংস্কার কর্মসূচিসহ নানা পদক্ষেপ নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচিত যুবরাজ মোহাম্মদ গত ২০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র সফর শুরুর পর ২২ মার্চ ওয়াশিংটন পোস্টকে ওই সাক্ষাৎকার দেন।
তিনি বলেন, গত শতকের ’৭০ এর দশকে স্নায়ু যুদ্ধের সময় পশ্চিমারাই ওয়াহাবিবাদের প্রচারে অর্থ ঢালতে সৌদি আরবকে অনুরোধ করেছিল।
তার ভাষায়, মুসলিম দেশগুলো যেন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব বলয়ে চলে না যায়, সেজন্যই পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো সৌদি আরবকে অনুরোধ করেছিল। সেই অনুরোধে বিভিন্ন দেশে মসজিদ-মাদ্রাসায় অর্থ ঢেলে ওয়াহাবি মতাদর্শের বিস্তারে কাজ শুরু করে সৌদি আরব।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব বলয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল পুরো বিশ্ব; ’৯০ এর দশকে সোভিয়েতের পতনের পর স্নায়ুযুদ্ধের অবসান ঘটে।
আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে সোভিয়েতবিরোধী লড়াইয়ে উগ্র মুসলিম গোষ্ঠীগুলোতে অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে মদদ জোগানোর অভিযোগ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে।
স্নায়ু যুদ্ধের অবসানের পর মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে ইসলামী জঙ্গি গোষ্ঠী; যাদের অধিকাংশই ওয়াহাবি দর্শনে দীক্ষিত, যাদের সালাফিও বলা হয়।
মুসলিমদের প্রধান দুটি ধারার অন্যতম সুন্নিদের মধ্যে ওয়াহাবিবাদের গোড়াপত্তন অষ্টাদশ শতকে আরবের নজদ থেকে মোহাম্মদ ইবনে আবদ আল ওয়াহাবের মাধ্যমে। ওয়াহাব ছিলেন বার শতকের ইবনে তায়মিয়াহ দ্বারা প্রভাবিত; যিনি মনে করতেন, রাষ্ট্র হবে ধর্মের অনুগামী। ইবনে তায়মিয়াহ ছিলেন মুক্ত মত চর্চার ঘোর বিরোধী।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর অটোমান সাম্রাজ্য ভেঙে পশ্চিমাদের হস্তক্ষেপে সৌদি আরব গঠন করে মসনদে বসে সউদ পরিবার; তখন তাদের সঙ্গে গাঁটছাড়া হয় ওয়াহাবিদের। রাজ পরিবারের পৃষ্ঠপোষকতায় ছড়াতে থাকে ওয়াহাবিদের উগ্র মত।

ইবনে সউদসহ রাজপরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ইবনে আবদ আল ওয়াহাব (ডান থেকে দ্বিতীয়); তার পাশে (সবার ডানে) যুক্তরাজ্যের মেজর জেনারেল পার্সি কক্স (সংগৃহীত ছবি)
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে এক পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ জানায়, পরমতসহিষ্ণু সুন্নিদের উগ্র ওয়াহাবিবাদে দীক্ষিত করতে ১৯৭০ থেকে চার দশকে ১ হাজার কোটিরও বেশি ডলার ঢালে সৌদি আরব।
এই অর্থের ২০ শতাংশের মতো আল কায়দাসহ বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর হাতে যায় বলে ইউরোপের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে টেলিগ্রাফ জানায়।
২০১৩ সালে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ওয়াহাবিবাদকে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসের আঁতুরঘর’ হিসেবে চিহ্নিত করে।
ওয়াহাবিবাদের প্রচারে অর্থায়ন যেভাবে শুরু হয়েছিল, তা পরে আর সৌদি সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকেনি বলে যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের ভাষ্য।
তিনি বলেন, এখন সরকারের বদলে সৌদি আরবভিত্তিক বিভিন্ন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এই অর্থায়ন হচ্ছে।
যে কাজটি শুরু হয়েছিল সৌদি আরব থেকে, তাতে এখন বিক্ষত হচ্ছে তারাও। আইএস এর মতো জঙ্গি গোষ্ঠীর আক্রমণের লক্ষ্যস্থল তারাও হচ্ছে।
এর মধ্যেই নিজের তৎপরতার জন্য পশ্চিমাদের দায়ী করে সৌদি যুবরাজের বক্তব্য এল।
-
ব্রেক্সিটে জিতলেও রাজনীতির খেলায় হেরে যাওয়া নেতা জনসন
-
অবশেষে সরলেন জনসন
-
জনসনের উত্তরসূরি যেভাবে নির্বাচিত হবেন
-
অবশেষে সরছেন জনসন
-
রাশিয়াকে ঘাঁটানো বোকামি হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে মেদভেদেভ
-
পাকিস্তানে বন্যায় ৩৫ মৃত্যু, বহু পরিবার ঘরহীন
-
দুই বছর পর বড় পরিসরে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু
-
জ্বালানি কিনতে পুতিনের সাহায্য চেয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট
সর্বাধিক পঠিত
- শ্রীলঙ্কা ‘দেউলিয়া’ হয়ে গেছে: রনিল বিক্রমাসিংহে
- দেম্বেলে আর আমাদের খেলোয়াড় নয়: লাপোর্তা
- শাস্তি পেল বাংলাদেশ দল
- বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রাখাটাই কষ্টকর হয়ে গেছে: প্রধানমন্ত্রী
- হোমিও থেকে হেনোলাক্সের ব্যবসাতেই কোটিপতি নুরুল আমিন
- অনেক রদবদলের ওয়ানডে দলে অধিনায়ক ধাওয়ান
- ইতিহাস গড়ে বিশ্বকাপে ইন্দোনেশিয়া
- নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বিশ্বকে শাস্তি, এটাতো মানবাধিকার লঙ্ঘন: প্রধানমন্ত্রী
- ভোক্তা অধিকারের ডিজির কফিতে মাছি, ৫০,০০০ টাকা জরিমানা
- ‘ওপেন করলে গিলক্রিস্টের মতোই ভয়ঙ্কর হতে পারে পান্ত’