সিরিয়ার গৌতায় জয়ের পথে আসাদ, শহর ছাড়ছে বিদ্রোহীরা

সিরিয়ার পূর্ব গৌতায় বিদ্রোহীদের প্রতিরোধ লড়াইয়ের অবসান ঘটানোর মধ্য দিয়ে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ।

>>রয়টার্স
Published : 22 March 2018, 04:07 PM
Updated : 22 March 2018, 04:07 PM

বৃহস্পতিবার অবরুদ্ধ পূর্ব গৌতার প্রধান শহরগুলো থেকে সপরিবারে চলে যেতে শুরু করেছে সিরীয় বিদ্রোহী যোদ্ধারা। সরকারের সঙ্গে লড়াই বন্ধের একটি চুক্তির আওতায় তারা গৌতা ছাড়ছে।

সরকারপন্থি বাহিনী একমাস আগে পূর্ব গৌতায় বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পর দুই পক্ষের মধ্যে এটিই এ ধরনের প্রথম চুক্তি।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এ পর্যন্ত ৮৮ জন বিদ্রোহী এবং ৪৫৯ জন বেসামরিক নাগরিক হারাসতা শহর ছেড়ে চলে গেছে বলে জানানো হয়েছে।

দিনশেষে আহরার আল-শাম ইসলামিক গোষ্ঠীর আরো প্রায় ১৫০০ যোদ্ধা এবং ৬ হাজার বেসামরিক নাগরিকের হারাসতা ছেড়ে উত্তরাঞ্চলের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশে চলে যাওয়ার কথা রয়েছে।

১৫ টি বাসে করে যোদ্ধাদেরকে তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হারাসতা থেকে ইদলিব এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিদ্রোহী এলাকাগুলোর দিকে চলে যেতে দেখার কথা জানিয়েছেন রয়টার্সের এক প্রত্যক্ষদর্শী।

গৌতায় দুপক্ষের লড়াইয়ে ১৫শ’ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে এবং সম্প্রতি কয়েকদিনে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পায়ে হেঁটে অঞ্চল ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানিয়েছে একটি পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী।

সরকারপন্থি বাহিনী সম্প্রতি পূর্ব গৌতার প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা পুনর্দখল করে এলাকাটিকে তিনটি অংশে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার পর বিদ্রোহীরা এখান থেকে চলে যেতে শুরু করল।

বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারের চুক্তিটি হয়েছে সিরিয়ার মিত্র রাশিয়ার উদ্যোগে। বৃহস্পতিবার সকালে বন্দি বিনিময় দিয়ে চুক্তিটির বাস্তবায়ন শুরু হয়।

রাষ্ট্রীয় টিভির খবরে বলা হয়েছে, বিদ্রোহীদের হাতে বন্দি ১৩ জন মুক্তি পেয়েছে। এভাবে দু’পক্ষে বন্দি বিনিময় হয়েছে মোট ১৮ জন।

চুক্তির আওতায় নিরাপদে গৌতা ছেড়ে যাওয়ার বিনিময়ে হারাসতায় অস্ত্রসমর্পণে রাজি হয়েছে শহরটির নিয়ন্ত্রণে থাকা বিদ্রোহী গোষ্ঠী আহরার আল-শাম।

তাছাড়া, এ চুক্তির ফলে পূর্ব গৌতার অন্যান্য অংশের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিদ্রোহীরাও এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার চাপে পড়েছে।

উত্তরাঞ্চলীয় দৌমা এলাকার নিয়ন্ত্রণে থাকা জঈশ ই-ইসলাম গোষ্ঠী এবং দক্ষিণাঞ্চলের আরবিন ও জামালকা জুড়ে নিয়ন্ত্রণে থাকা ফায়লাক আল-রহমান গোষ্ঠীর সঙ্গেও সরকার একই ধরনের চুক্তি করার পথে রয়েছে।