অর্থ কেলেঙ্কারি: তদন্তের মুখে ফ্রান্সের সারকোজি

ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি ২০০৭ সালের নির্বাচনী প্রচারের সময় লিবিয়ার তৎকালীন শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে অর্থ নিয়েছিলেন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2018, 12:51 PM
Updated : 22 March 2018, 12:51 PM

অবৈধভাবে নির্বাচনী প্রচারের অর্থ জোগাড়ের পাশাপাশি লিবিয়ার সরকারি অর্থের অপব্যবহার এবং পরোক্ষ দুর্নীতির অভিযোগেও তার বিরুদ্ধে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

২০০৭ সালের নির্বাচনী প্রচারাভিযানের অর্থ নিয়ে দুইদিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবার সারকোজিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সাবেক এ ফরাসি প্রেসিডেন্ট কোনো ধরনের অন্যায়ে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন ।

সারকোজি বলছেন, ২০১১ সালে গাদ্দাফিকে উৎখাতের সময় ফরাসি জঙ্গিবিমান মোতায়েনের যে সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন, তার প্রতিশোধ নিতেই লিবীয়রা তার বিরুদ্ধে এ মিথ্যা অভিযোগ এনেছে।

মধ্য ডানপন্থি এ রাজনীতিবিদ ২০০৭ সালের নির্বাচনে জয়ী হলেও পাঁচ বছর পর ২০১২ সালের নির্বাচনে সোশালিস্ট ফ্রাঁসোয়া ওলন্দের কাছে পরাজিত হন।

পরের বছরই সারকোজির বিরুদ্ধে গাদ্দাফির কাছ থেকে অবৈধভাবে কয়েক মিলিয়ন ইউরো নিয়ে তা নির্বাচনী প্রচারে ব্যয়ের অভিযোগ ওঠে।

মঙ্গলবার এ অভিযোগে পুলিশ সাবেক প্রভাবশালী মন্ত্রী ও সারকোজির ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত ব্রিস হর্তেফুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে।

মুদ্রাপাচারের অভিযোগে জানুয়ারিতে লন্ডনে আটক সারকোজির সাবেক এক উপদেষ্টাও এখন ফ্রান্সে হস্তান্তর ঠেকাতে লড়ছেন। ওই মুদ্রাপাচারের সঙ্গেও গাদ্দাফির কাছ থেকে নেওয়া অর্থের সংযোগ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সুইস ব্যবসায়ী জোউরি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অ্যাখ্যা দিয়েছেন।

ফরাসি-লিবীয় ব্যবসায়ী জিয়াদ তাকিয়েদ্দিনসহ গাদ্দাফি আমলের কয়েকজন কর্মকর্তা সারকোজির বিরুদ্ধে গাদ্দাফির কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন।

২০১৬ সালের নভেম্বরে জিয়াদ তাকিয়েদ্দিন ফরাসি নিউজ ওয়েবসাইট মেডিয়াপার্টকে বলেন, ২০০৬-০৭ এর সময়ে তিনি সারকোজি ও তার চিফ অব স্টাফ ক্লদ গেন্তকে তিনটি স্যুটকেস ভর্তি ২০০ ও ৫০০ ইউরোর নোট দিয়েছিলেন।

৫০ লাখ ইউরোর সমপরিমাণ ওই অর্থ গাদ্দাফির কাছ থেকে এসেছিল বলেও দাবি তাকিয়েদ্দিনের।