কোনো অন্যায় করার কথা অস্বীকার করলেও ‘দেশের উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে থাকতে চান না’ উল্লেখ করে বুধবার পদত্যাগ করেছেন তিনি, খবর বিবিসির।
পরে পেরুর কংগ্রেসের কুজেনস্কির দলের নেতারা প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের বিষয়টি অনুমোদন করেছেন।
উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগে বৃহস্পতিবার একটি অভিশংসন ভোটের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল তার।
কুজেনস্কির মিত্ররা এই ভোটে তাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য বিরোধীদলীয় রাজনীতিকদের অর্থ দেওয়ার প্রস্তাব করছেন, এমন ফুটেজ প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে কুজেনস্কির পদত্যাগের দাবিতে প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়।
এর আগে ডিসেম্বরে আরেকটি অভিশংসন ভোটে উৎরে গিয়েছিলেন ৭৯ বছর বয়সী এই প্রেসিডেন্ট।
ব্রাজিলীয় নির্মাণ কোম্পানি ওদেব্রেইচি থেকে অবৈধ অর্থ নেওয়ার অভিযোগে বিরোধীরা কুজেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চাইছে।
কংগ্রেসে অল্প কিছু ভোটের ব্যবধানে ক্ষমতায় টিকে থাকা এই প্রেসিডেন্ট বিরোধীরা ‘ক্যু করতে চাইছে’ বলে অভিযোগ করে আসছিলেন।
জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে তিনি দাবি করেছেন, তাকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে ওই ভিডিও ফুটেজটি এডিট করা হয়েছিল।
কুজেনস্কি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে নিউ ইয়র্কের ওয়াল স্ট্রিটের ব্যাংকার হয়েছিলেন। ২০১৬ সালে তিনি পেরুর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অল্প ব্যবধানে জয় পেয়ে ক্ষমতাসীন হন।
বৃহস্পতিবার বিরোধী দল নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসে কুজেনস্কির পদত্যাগের ওপর ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোটের রায় তার বিপক্ষে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পেরুর সংবিধান অনুযায়ী প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট মার্তিন ভিজকার্রা কুজেনস্কির স্থলে অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালন করবেন।