ট্রাম্পকে অবশ্যই আদালতে দাঁড়িয়ে তার ব্যবহার সম্পর্কে করা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার আরো দুই নারী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ তুলে মামলা করেন।
তাদের একজন এনবিসি টেলিভিশনের রিয়েলিটি শো ‘দ্য অ্যাপরেন্টিস’ এ অংশগ্রহণ করা সামার জারভোস। তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন।
অভিযোগকারী অন্য নারী হলেন প্লেবয় মডেল ক্যারেন ম্যাকডোগাল। যিনি আমেরিকান মিডিয়া ইঙ্ক. (আইএনসি) এর বিরুদ্ধে তার খবর প্রকাশ না করার জন্য লস অ্যাঞ্জেলেস আদালতে মামলা করেন।
ট্রাম্প হোয়াইট হাউজের বাসিন্দা হিসাবে মামলা থেকে ছাড় পাওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। যুক্তি দেখিয়ে তিনি বলেছিলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ধারা অনুযায়ী, জাতির সুপ্রীম কমান্ডার হিসাবে প্রেসিডেন্টরা রাজ্য আদালতে করা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে পারেন।”
কিন্তু মঙ্গলবার ম্যানহাটনের বিচারপতি জেনিফার স্চেকটার ১৯ পাতার এক রায়ে বলেন, “কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কোনো ছাড় নেই এবং তিনি তার ব্যক্তিগত কার্যকলাপের জন্য আইন মানতে বাধ্য।”
আদালতের এ রায়ের ফলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এখন মামলা চালানোয় আর কোনো বাধা থাকল না।
‘দ্য অ্যাপরেন্টিস’ এ অংশগ্রহণকারী সামার জারভোসের অভিযোগ, ২০০৭ সালে নিউ ইয়র্কের কার্যালয়ে এক বৈঠকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ট্রাম্প তাকে চুমু খান। পরে বেভারলি হিল হোটেলে আরেকটি বৈঠকের সময়ও ট্রাম্পের কাছ থেকে যৌন অসদাচরণের শিকার হন তিনি।
অন্যদিকে, প্লেবয় মডেল ম্যাকডোগালের অভিযোগ, ২০০৬ ও ২০০৭ এই দুই বছর ট্রাম্পের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক ছিল। ২০১৬ সালে আমেরিকান মিডিয়া ইঙ্ক. দেড় লাখ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে তার কাছ থেকে এ খবর কিনে নেয় এবং তা আর কখনোই প্রকাশ করেনি।
আমেরিকান মিডিয়া ইঙ্ক. এর প্রধান ডেভিড পার্কার এর আগে ট্রাম্পকে তার ‘ব্যক্তিগত বন্ধু’ বলে বর্ণনা করেছিলেন।
এ নিয়ে এক ডজনের বেশি নারী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ তুললেন। যদিও ট্রাম্প সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং অভিযোগকারী নারীদের ‘মিথ্যাবাদী’ বলেছেন।