শতাধিক স্কুলছাত্রীকে মুক্তি দিল বোকো হারাম

অপহরণের মাসখানেক পর নাইজেরিয়ার শতাধিক স্কুলছাত্রীকে ‘কোনো মুক্তিপণ ছাড়াই’ ফিরিয়ে দিয়ে গেছে জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম।

>>রয়টার্স
Published : 21 March 2018, 03:32 PM
Updated : 21 March 2018, 04:00 PM

বুধবার সকালে বোকো হারাম জঙ্গিরা কয়েকটি ট্রাকে করে ওই ছাত্রীদের উত্তরপূর্বের ডাপচি শহরে নামিয়ে দিয়ে চলে যায় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। 

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ডাপচির একটি স্কুল থেকে ১১০জন ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় বোকো হারাম। তাদের মধ্যে একশজনের বেশি ছাত্রীকে তারা ফিরিয়ে দিয়েছে।

অপহৃত ছাত্রীদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেছে বলে জানায় মুক্তি পাওয়া খাদিজা গ্রেমার।“একজনকে এখনো তারা আটকে রেখেছে, কারণ সে খ্রিস্টান এবং  ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেনি।”

মুক্তি পাওয়া আরেক ছাত্রীর চাচা বলেন, “হাদিজা আমাকে বলেছে, যারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণে রাজি হয়নি তাদের এখনো আটকে রাখা হয়েছে।”

এক বিবৃতিতে নাইজেরিয়ার তথ্যমন্ত্রী লাই মোহাম্মদ বলেন, “নাইজেরিয়া সরকার ‘ব্যাক-চ্যানেলের’ মাধ্যমে এবং আমাদের দেশের কয়কজন বন্ধুর সহায়তায় অপহৃত স্কুলছাত্রীদের মুক্তি নিশ্চিত করেছে।

“জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করলে মেয়েগুলো মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়ে যেত। সরকার পরিষ্কারভাবেই তা বুঝতে পেরেছিল বলে তাদের মুক্তির জন্য অহিংস পথ বেছে নিয়েছে।”

অপহরণের শিকার হওয়া ছাত্রীদের বয়স ১১ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে।

২০১৪ সালে চিবুকের ২৭০ জনের বেশি স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর এটিই নাইজেরিয়া শিক্ষার্থী অপরণের সবচেয়ে বড় ঘটনা।

তবে কেন ওই ছাত্রীদের অপরহণ করা হয় সে বিষয়ে সরকার বা বোকো হারামের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।

ডাপচির মেয়েদের অপহরণের পর বলা হয়েছিল, মুক্তিপণ আদায় করতে বোকো হারাম একাজ করেছে।

যদিও গত বছর চিবুকের কয়েকটি মেয়ের মুক্তিপণ হিসেবে কয়েক লাখ ইউরো পেয়েছিল জঙ্গি দলটি। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মুক্তিপণ ছাড়াই ডাপচির স্কুলছাত্রীদের মুক্ত করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়।

যদিও ডাপচি অপহরণের ঘটনা নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারিকে প্রচণ্ড চাপে ফেলেছিল।

বোকো হারামকে নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েই ২০১৫ সালে নাইজেরিয়ার ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি। আগামী বছর দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।