টেক্সাসের সন্দেহভাজন পার্সেল বোমা হামলাকারী নিহত

যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সাসের অস্টিন জুড়ে ধারাবাহিক প্রাণঘাতী পার্সেল বোমা হামলায় সন্দেহভাজন ব্যক্তি পুলিশী অভিযানের পর মারা গেছে। গ্রেপ্তার এড়াতে ওই ব্যক্তি নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

>>রয়টার্স
Published : 21 March 2018, 11:17 AM
Updated : 21 March 2018, 12:28 PM

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়া অস্টিন পুলিশ প্রধান ব্রিয়ান ম্যানলি বলেন, অস্টিনের কাছের একটি হোটেল থেকে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে অনুসরণ করা শুরু করে। এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তি অস্টিন থেকে ৩২ কিলোমিটার উত্তরে রাউন্ড রক মহাসড়কের একপাশে তার গাড়ি থামিয়ে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়।

“বিস্ফোরণের কারণেই ২৫ বছরের ওই তরুণ মারা গেছে। বোমাটি তার গাড়ির ভেতরেই ছিল।”

ওই ব্যক্তি শ্বেতাঙ্গ ছিলেন বলে জানালেও তার নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি ম্যানলি।

সন্দেহভাজন ব্যক্তি সড়কের পাশে থামার পর এক পুলিশ কর্মকর্তা তার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। অন্য এক পুলিশ কর্মকর্তা বিস্ফোরণের ধাক্কায় সামান্য আহত হয়েছেন।

স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সংবাদে ঘটনাস্থলে অনেকগুলো পুলিশের গাড়ি দেখা গেছে। এফবিআই ঘটনা তদন্ত করছে।

পুলিশ ওই এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলেছেন।

এ মাসের শুরু দিকে অস্টিনের বিভিন্ন জায়গায় পাঁচটি বোমা বিস্ফোরণে দুই জন নিহত এবং অন্তত পাঁচজন আহত হন।

প্রথম তিনটি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত ডিভাইস ছিল পার্সেল বোমা। সেগুলো অস্টিনের কয়েকটি জায়গায় বাড়ির সামনে ফেলে রাখা হয়েছিল। ট্রিপওয়্যার দিয়ে সেগুলোর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

সর্বশেষ গত সোমবার মধ্যরাতের পর স্চেটজ শহরে ফেডেএক্সের গুদামে একটি পার্সেল বোমা বিস্ফোরিত হয়।

মঙ্গলবার রাতে ফেডএক্সের গুদামের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে সনাক্ত করে পুলিশ। তারপর গুগল সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে তার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে এবং তার গাড়ির অবস্থান সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

বুধবার ভোররাতের দিতে পুলিশ ও এফবিআই রাউন্ড রকের একটি হোটেলের পার্কিংয়ে অবস্থান নেয়। হঠাৎ করেই ওই ব্যক্তি গাড়ি চালু করে ছুটতে শুরু করলে পুলিশ তার পিছু নেয়।

পুলিশ বলছে, টেক্সাসের রাজধানী অস্টিনে চারটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় একই ধরনের ডিভাইস ব্যবহৃত হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি আবাসিক ঠিকানায় পাঠানো পার্সেলের মধ্যে লুকানো ছিল। অন্য বোমাটি অস্টিনের দক্ষিণ-পশ্চিমের একটি সড়কে পোঁতা ছিল।

দুই ব্যক্তি ওই সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় বোমার সঙ্গে সংযুক্ত ‘ট্রিপওয়্যার’ এ পা দিয়ে ফেললে সেটি বিস্ফোরিত হয়ে দুইজন নিহত এবং আরও দুইজন আহত হন।

নিহত দুই ব্যক্তি ‍কৃষ্ণাঙ্গ ছিলেন। তাই কৃষ্ণঙ্গ বিদ্বেষ থেকে এ হামলাগুলো হয়েছে কিনা পুলিশ সেটিও খতিয়ে দেখছে।

যদিও কি কারণে এসব হামলা হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

ম্যানলি বলেন, “কি কারণে হামলাকারী এ কান্ড ঘটিয়েছে তা এখনও আমরা বুঝতে পরিনি।”

“এদিন আরো একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটতে যাচ্ছিল কি না তাও এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গাড়িতে একটি বোমাই ছিল, ‍পুলিশের ধাওয়া খেয়ে হামলাকারী সেটির বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।”