সুদান নামের ৪৫ বছর বয়সী গণ্ডারটি সোমবার কেনিয়ার ওল পেজেতা সংরক্ষিত বনে মারা যায়। কয়েকমাস ধরে রুগ্নস্বাস্থ্যের কারণে এটির মৃত্যু হয়েছে।
সুদানের মৃত্যুর কারণে এ প্রজাতির গণ্ডারের প্রজননের সম্ভাবনা প্রায় শেষ হয়ে গেল। গবেষকরা এখন আইভিএফ পদ্ধতি ব্যবহার করে জীবিত দুই নারী গণ্ডারের গর্ভধারণের চেষ্টা করে এ প্রজাতিটিকে টিকিয়ে রাখার কথা ভাবছেন।
ওই দুই নারী গণ্ডারের একটি সুদানের মেয়ে অন্যটি নাতনি।
হাতির পর গণ্ডারই স্থলে বসবাস করা সবচেয়ে বড় স্তন্যপায়ী প্রাণী। গণ্ডারের পাঁচটি প্রজাতির মধ্যে সাদা গণ্ডার একটি।
সাদা গণ্ডার আবার দুই ধরনের। সাউদার্ন হোয়াইট রাইনো এবং নর্দান হোয়াইট রাইনো।
মূলত ৭০ ও ৮০’র দশকে শিংয়ের জন্য ব্যাপক হারে গণ্ডার হত্যা শুরু হয়।
চীনে ওষুধ তৈরিতে এবং ইয়েমেনে বিশেষ ধরনের একটি ছুটির বাট তৈরি করা হয় গণ্ডারের শিং দিয়ে।
এ শতাব্দীর শুরু দিকে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর বনে বেশ কিছু নর্দান হোয়াইট রাইনো ছিল। কিন্তু সেগুলোকে যুদ্ধের বলি হতে হয়েছে।
সুদানের জন্মও জঙ্গলে। ২০০৯ সালে চেক প্রজাতন্ত্রের একটি চিড়িয়াখানা থেকে সুদানসহ দুইটি পুরুষ ও দুইটি নারী গণ্ডারকে ওল পেজেতা সংরক্ষিত বনে পাঠানো হয়।
আশা ছিল নতুন এবং উপযুক্ত পরিবেশে প্রজননের মাধ্যমে সেগুলো শাবক জন্ম দেবে। কয়েকবার গর্ভধারণের ঘটনা ঘটলেও তা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি।