সোমবার ক্যানবেরা পৌঁছানোর পর সুচিকে সামরিক কায়দায় সম্মান জানানো হয় বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
এই সাক্ষাতে সুচির সঙ্গে আলোচনায় মানবাধিকারের ইস্যু তুলবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী টার্নবুল।
গত শুক্রবার থেকেই সুচি অস্ট্রেলিয়ায় আছেন। সিডনিতে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশন্স (এএসইএএন) নেতাদের এক বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছেন তিনি।
সিডনিতে তার উপস্থিতিতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মেলবোর্নে তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।অস্ট্রেলিয়ার রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের পক্ষ হয়ে একজন মানবাধিকার আন্দোলনকারী আইনজীবী মামলাটি দায়ের করেছেন।
কিন্তু সুচির কূটনীতিক ছাড় থাকার কারণে মামলাটি বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল।
মিয়ানমারে গণতন্ত্রের জন্য তার সংগ্রামের কারণে ১৯৯১ সালে সুচিকে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৬ সালে দেশটির ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক বাহিনীর হামলা থামানো বা এর নিন্দা না করার কারণে বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান নিন্দার মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন দমনপীড়নের মুখে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নির্মূল অভিযান চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের।
মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি তদন্তের জন্য জাতিসংঘ নিযুক্ত স্বাধীন তদন্তকারী ইয়াংহি লি চলতি মাসে জেনেভায় জানিয়েছেন, রাখাইনে সম্ভাব্য গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রমাণ পেয়েছেন তিনি।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহারের ‘পরিষ্কার প্রমাণ’ চেয়েছে।
তাদের বৈঠকের আগে সুচি বা টার্নবুল কেউই এসব বিষয়ে নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি। কিন্তু রোববার অস্ট্রেলীয় নেতা বলেছিলেন, এএসইএনএস এর বৈঠকে রাখাইন রাজ্য নিয়ে ‘বিবেচনা যোগ্য মাত্রায়’ কথা বলেছেন সুচি, প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে মানবিক সহায়তার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি।