আলোচনায় উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে সিএনএন এ খবর দিয়েছে।
এ বিষয়ে আলোচনা করতে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হো স্টকহোম গেছেন।
ওই ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, মার্কিন নাগরিকদের মুক্ত করতে সুইডেন ‘জোর চেষ্টা চালাচ্ছে’।
“আটকদের মুক্তির পথে যেকোনো ধরনের অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য দারুণ হবে।”
“তবে সুইডেন এজন্য উত্তর কোরিয়াকে চাপ দিচ্ছে না। বরং তারা পিয়ংইয়ংকে বোঝাতে চাইছে যে, এটি দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে সঠিক সিদ্ধান্ত হবে।”
মার্কিন নাগরিক কিম হাক-সং, কিম সাং-ডুক এবং কিম ডং চুলকে উত্তর কোরিয়া সরকারের নির্দেশে আটক করা হয়েছে।
চীনে জন্ম নেওয়া উত্তর কোরিয়া বংশোদ্ভূত কিম হাক-সং ক্যালিফোর্নিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন। উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর মে মাসে তাকে আটক করা হয়।
তার আগের মাসেই উত্তর কোরিয়া ছাড়ার চেষ্টা করার সময় পিয়ংইয়ং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কিম সাং-ডুককে আটক করে পুলিশ।
দক্ষিণ কোরিয়া বংশোদ্ভূত কিম ডং চুল যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। চীনে বসবাস করার সময় তাকে আটক করা হয়।
২০১৬ সালে তিনি সিএনএন’কে বলেছিলেন, একটি ট্রাভেল ও হোটেল কোম্পানির প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি চীনে কর্মরত ছিলেন। তিনি চীন সীমান্তের ইকোনমিক জোনের উত্তর কোরিয়া অংশে গেলে তাকে আটক করা হয়।
গত বছর উত্তর কোরিয়া মার্কিন ছাত্র ওটো ওয়ার্মবিয়ারকে মুক্তি দিয়েছিল। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা এতই খারাপ ছিল যে সে প্রায় জীবন্মৃত ছিল।
দেশে ফেরার কয়েক দিন পর ওয়ার্মবিয়ার মারা যায়।
মার্কিন চিকিৎসকদের দাবি, ওয়ার্মবিয়ার উত্তর কোরিয়ায় মারাত্মক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
অন্যদিকে উত্তর কোরিয়া বলেছিল, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়া ওয়ার্মবিয়ার দীর্ঘদিন কোমায় ছিলেন।