মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার

রাখাইনে গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূল অভিযানের ‘প্রমাণ আছে’ বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার।

>>আইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 March 2018, 05:36 PM
Updated : 14 March 2018, 05:36 PM

দেশটির সরকারের মুখপত্র ‘গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার’ পত্রিকার সম্পাদকীয়তে বলা হয়, “মিয়ানমার এখনও রাখাইন রাজ্যকে উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার রাস্তায় ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছে। যদিও এখনও সেখানে বিদেশ থেকে আসা অর্থ ও ইন্ধনে সন্ত্রাসবাদ চলছে।”

আরাকান রোহিঙ্গা সালভাশন আর্মিই (এআরএসএ) গত বছর অগাস্টে রাখাইনের পুলিশ পোস্ট ও সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে বলে ওই সম্পাদকীয়তে জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ওই হামলার পর রাখাইনে সেনা অভিযান শুরু হয়। তার পর থেকে গত ছয় মাসে রাখাইন থেকে সাত লাখের বেশি মানুষ প্রাণ বাঁচাতে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

রাখাইনে মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের নেওয়া সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে সম্পাদকীয়তে আরো বলা হয়েছে যে, সেখানকার বেশিরভাগ মানুষই চাকরি, খাবারের অভাবে এবং এআরএসএ- এর হুমকির ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।

সোমবার মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের বিশেষ কর্মকর্তা ইয়াংহি লি জেনেভায় বলেন, অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন মিয়ানমার সরকার এবং সেনাবাহিনীকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের জন্য জবাবদিহি করতেই হবে।

কিন্তু জাতিসংঘে মিয়ানমারের স্থায়ী প্রতিনিধি ইউ টিন লিন রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সেখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “রাখাইনে ঠিক কি হয়েছে একদিন ইতিহাসই তার বিচার করবে।”

জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ৩৭তম অধিবেশন চলছে। সেখানে ইউ টিন লিন বলেন, “মিয়ানমারের নেতা এবং সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের মত অপরাধ কখনোই মেনে নেবে না। যদি এ সংক্রান্ত স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় তবে মিয়ানমার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত আছে।”