কিমের আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়ার একদিন পর এক টুইটে এ সম্ভাবনার কথা জানান তিনি।
বলেন, “উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি এবং বৈঠক হবে, যদি বৈঠক ঠিকমত শেষ হয় তবে সেটা বিশ্বের জন্য খুব ভালো হবে। সময় এবং স্থান পরে জানান হবে।”
পরমাণু প্রকল্প নিয়ে উত্তর কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার পথ সুগম করতে গত ৫ মার্চ দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধি দল দুই দিনের সফরে পিয়ংইয়ং যান। সেখানে কিম তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
বিবিসি জানায়, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার দলটি ওয়াশিংটনে যায় এবং ট্রাম্পের হাতে কিমের আমন্ত্রণপত্র তুলে দেয়।
ট্রাম্প তা সাদরে গ্রহণ করেছেন বলে পরে সাংবাদিকদের জানান প্রতিনিধিরা।
যদিও তারপর হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, পিয়ংইয়ং থেকে প্রথমে ‘স্থায়ী পরিকল্পনা’ দিতে হবে। তার পরই কেবল দুই নেতা বৈঠকে বসবেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনও ট্রাম্পের সঙ্গে কিমের আলোচনার আয়োজন করতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যাবে বলে জানিয়েছিলেন।
এর মধ্যেই টুইটারে কিমের সঙ্গে আলোচনায় বসার সম্ভাবনার কথা জানালেন ট্রাম্প।
যদিও উত্তর কোরিয়া থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমে ট্রাম্প তার প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা না করেই উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন বলে খবর প্রকাশ হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলাসন এখন আফ্রিকা সফরে। আর এর মধ্যেই ট্রাম্প এত সংবেদনশীল একটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন।
জিবুতিতে সাংবাদিকরা টিলারসনকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “এ ধরণের সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট নিজেই নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
“আমি আজ খুব সকালে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছি এবং আমাদের মধ্যে সফল আলোচনা হয়েছে।”