শি’কে ক্ষমতায় রাখতে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব চীনে

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে অনির্দিষ্টকাল ক্ষমতায় ধরে রাখতে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি।

>>রয়টার্স
Published : 25 Feb 2018, 02:38 PM
Updated : 25 Feb 2018, 05:06 PM

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া রোববার এ খবর প্রকাশ করেছে।

চীনের সংবিধান অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি পাঁচ বছর করে সর্বোচ্চ দু’বার প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্ষমতায় থাকতে পারেন। নতুন সংশোধনীতে প্রেসিডেন্টের এ গন্ডিবাঁধা মেয়াদের ধারা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবটি কার্যকর হলে চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০২৩ সালের পরও ক্ষমতায় থাকতে পারবেন।

কমিউনিস্ট পার্টির প্রভাবশালী সেন্ট্রাল কমিটি এ প্রস্তাব দিয়েছে। সেখানে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ নিয়েও সংবিধান সংশোধনের একই প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলা হয়নি। তবে প্রস্তাবের বিস্তারিত পরে প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে খবরে।

২০১৩ সালের মার্চে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন শি। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৩ সালে তাকে পদত্যাগ করতে হবে।

আগামী ৫ মার্চ দেশটির ন্যাশনাল পিপুলস কংগ্রেসের বার্ষিক পূর্ণ অধিবেশন শুরু হবে। ওই দিন পার্লামেন্টে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব পেশ করা হতে পারে।

ইতিহাসবিদ ও রাজনীতি বিশ্লেষক ঝ্যাং লিফানের মতে, শি’কে ক্ষমতা রাখতে সংবিধান সংশোধনের এই উদ্যোগ পূর্ব অনুমেয়।

কিন্তু তাকে ঠিক কত বছর ক্ষমতায় রাখার কথা চিন্তা করা হচ্ছে তা নিয়ে পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন।

তিনি বলেন, “থিওরি অনুযায়ী তিনি জিম্বাবুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের চাইতেও বেশি সময় রাজত্ব করবেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ভবিষ্যতে ঠিক কি হবে তা কেউই বলতে পারে না।”

জিম্বাবুয়েকে ৩৭ বছর ধরে শাসন করা মুগাবে গণবিক্ষোভ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের পর শেষ পর্যন্ত দলের চাপে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

চীনের অনেক নাগরিক অনির্দিষ্টকালের জন্য এক ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা চলে যাওয়া পছন্দ করছে না।

দেশটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইবোতে এক জন লিখেছেন, “যদি দুই মেয়াদ যথেষ্ট না হয় তবে তারা তিন মেয়াদের কথা লিখতে পারে, কিন্তু সেখানে অবশ্যই একটা সীমা থাকতে হবে। একেবারে মুক্ত করে দেওয়া ভাল হবে না।”