মঙ্গলবার পার্লামেন্টে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি এক রুদ্ধদার বৈঠকে ইয়ামিনের পেশ করা জরুরি অবস্থার ডিক্রি অনুমোদন করে এর মেয়াদ ৩০ দিন বাড়ানোর অনুরোধে সায় দিয়েছে।
ক্ষমতাসীন দলের ৩৮ জন এমপি ডিক্রির পক্ষে ভোট দিয়ে সেটি মূল্যায়নের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির কাছে পাঠায়। যদিও সংবিধান মোতাবেক, ডিক্রিটি অনুমোদন পেতে পার্লামেন্টে অন্তত ৪৩ জন এমপি’র উপস্থিতি প্রয়োজন ছিল।
বিরোধীদলীয় এমপি’রা এ ভোটকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে ভোট বয়কট করেছে।
জরুরি অবস্থার নতুন মেয়াদ শেষ হবে ২২ মার্চে।
মালদ্বীপের জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে এবং দেশটির সাংবিধানিক সংকটের সমাধান এখনও হয়নি- এ যুক্তিতে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন।
ইয়ামিন দেশে জরুরি অবস্থা জারি করার পর থেকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ বেড়েছে। আদালত-সরকার দ্বন্দ্বের জেরে ৫ ফেব্রুয়ারিতে ইয়ামিন দেশজুড়ে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।
এরপরই মালদ্বীপে ব্যাপক ধরপাকড়ের মুখে দেশটিকে জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
এক বিবৃতিতে ইইউ মুখপাত্র বলেন, “জরুরি অবস্থা ঘোষণার কারণে মালদ্বীপের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং দেশটিতে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে।”
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার জেইদ রাদ আল হুসেইনও মালদ্বীপে জরুরি অবস্থাকে ‘গণতন্ত্রের ওপর পুরোদস্তুর আক্রমণ’ বলে বর্ণনা করেন।