‘দ্য সিরিয়া সিভিল ডিফেন্স’ থেকে প্রাথমিক খবরে বলা হয়েছে, মার্জ শহরে বিমান ও গোলা হামলায় ২৪ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জন নারী ও শিশু রয়েছে। তাছাড়া, আরবিন এবং মিসরাবায় বিমান হামলায় নিহত হয়েছে আরো ১০ জন।
সোমবারেই পূর্ব গৌতায় সরকারি হামলায় শতাধিক মানুষের মৃত্যুর পর মঙ্গলবার ফের নতুন করে সেখানকার অন্তত ১০ টি শহর ও গ্রামে বোমা হামলা হওয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয় কর্মীরা।
বিদ্রোহী কর্মীদের স্থানীয় সমন্বয় কমিটি এসব হামলায় ৭৭ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে।
তবে ‘দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’ নিহতের সংখ্যা ৫০ উল্লেখ করেছে। এর মধ্যে ১৩ জন শিশু বলে জানিয়েছে তারা।
এর আগে সোমবারের হামলায় ১২৭ জন নিহত হওয়ার তথ্য দিয়েছিল একটি পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী। সিরিয়ার ওই এলাকায় গত তিনবছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা। এলাকাটিতে ৩৯৩,০০০ মানুষ আটকা পড়ে আছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরির হিসাবমতে, পূর্ব গৌতায় রোববার রাত থেকে শুরু করে সরকারি বাহিনীর চলমান হামলায় এ পর্যন্ত ১৯৪ জন নিহত এবং ৮৫০ জন আহত হয়েছে।
গৌতায় পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে’ বলে জাতিসংঘ সতর্ক করেছে। পূর্ব গৌতায় এ নির্বিচার বোমাবর্ষণ অবিলম্বে বন্ধ করে সেখানে মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া এবং হতাহতদের উদ্ধারের জন্য যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি পূর্ব গৌতা থেকে বিদ্রোহীদের ছোড়া গোলায় সরকার নিয়ন্ত্রিত পূর্ব দামেস্কে অন্তত ২ জন নিহত এবং ১৩ জন আহত হওয়ার খবর প্রচার করেছে।
সিরিয়ার সেনাবাহিনী পূর্ব গৌতার খবর নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বলেছে, ওই গোলা যেসব এলাকা থেকে এসেছে সে স্থানগুলোতেই সুনির্দিষ্টভাবে হামলা চালানো হচ্ছে।
পূর্ব গৌতার পরিস্থিতি বিপর্যয়কর বলে মন্তব্য করেছেন সেখানকার স্থানীয় এক চিকিৎসক। তিনি বলেন, “সেখানে লোকজনের পালানোর কোনো জায়গা নেই। তাছাড়া, অবরুদ্ধ অবস্থায় ক্ষুধা, অনাহারে তারা খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছে।”
দামেস্কের কাছে পূর্ব গৌতাই বিদ্রোহীদের সর্বশেষ বড় ঘাঁটি। এখানকার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ইসলামপন্থি দল জঈশ-ই-ইসলাম। তবে সিরিয়ায় আল কায়েদা সংশ্লিষ্ট সাবেক জিহাদি জোট হায়াত তাহির আল-শামও এ এলাকায় সক্রিয় রয়েছে।
সম্প্রতি সরকারি বাহিনী সেখানে হামলা জোরদার করায় তারা পূর্ব গৌতা পুনর্দখলে বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করতে পারে বলেই মনে করছে অনেকে।