বিধ্বস্ত ইরানি উড়োজাহাজের সব যাত্রী, ক্রু নিহতের আশঙ্কা

ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় পার্বত্য এলাকায় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির ৬৫ জন আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Feb 2018, 08:25 AM
Updated : 19 Feb 2018, 06:44 AM

রোববার রাজধানী তেহরান ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ইয়াসুজের মধ্যবর্তী এলাকার আকাশে থাকাকালে খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে জাগ্রোস পর্বত এলাকায় অভ্যন্তরীণ ওই ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হয়, খবর বিবিসি, বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ইরানি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ-র।

ইরানি আসেমান এয়ারলাইন্সের এক মুখপাত্র রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে জানিয়েছেন, আরোহীদের সবাই নিহত হয়েছেন।

কিন্তু এক বিবৃতিতে এয়ারলাইনটি জানিয়েছে, তারা দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি এবং সবাই মারা গেছেন কিনা তা ‘সঠিক ও পরিষ্কারভাবে নিশ্চিত করতে পারছে না’।

এর আগে এয়ারলাইনটি জানিয়েছিল, দুই ইঞ্জিনের ওই টার্বোপ্রপ এআরটি ৭২ উড়োজাহাজটিতে ৬০ জন যাত্রী ও ছয় জন ক্রু ছিল। কিন্তু পরে জানিয়েছে, উড়োজাহাজটিতে মোট ৬৫ জন আরোহী ছিল, কারণ এক যাত্রী ফ্লাইট মিস করেছিল।

তেহরানের মেহরাবাদ বিমানবন্দর থেকে রওনা হওয়ার পর উড়োজাহাজটি ইস্পাহান প্রদেশের সেমিরোম শহরের কাছে বিধ্বস্ত হয় বলে বার্তা সংস্থা আইএসএনএ-কে জানিয়েছেন জরুরি বিভাগের মুখপাত্র মোজতাবা খালেদি।

বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে রওনা হয়ে কোহগিলুইয়ে ও বোয়ার-আহমদ প্রদেশের রাজধানী ইয়াসুজে যাচ্ছিল, কিন্তু ৫০ মিনিট পর এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

যে পার্বত্য এলাকায় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে একটি ড্রোন পাঠিয়ে ধ্বংসাবশেষ ও দুর্ঘটনাস্থলটি সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে উদ্ধারকারী দলগুলো।

সেমিরোম শহরের রেড ক্রিসেন্টের প্রধান নুরমোহাম্মদ মুসাভি বলেছেন, “খারাপ আবহাওয়ার কারণে ওই এলাকায় হেলিকপ্টার পাঠানো যাচ্ছে না। বিধ্বস্ত বিমানটির খোঁজে একটি ড্রোন পাঠাচ্ছি আমরা।”

দুর্ঘটনাস্থলের খোঁজে থাকা উদ্ধারকারী দল তখনও পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি বলে জানিয়েছিলেন তিনি। 

উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে থাকা এক টেলিভিশন প্রতিবেদক বলেছেন, “রাত নেমে আসছে এবং ঠাণ্ডাও বেড়ে যাচ্ছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত উড়োজাহাজটির কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি।”

জাগ্রোস পর্বতের ডেনা পবর্ত এলাকায় তুষার আচ্ছাদিত ৪০টিরও বেশি শৃঙ্গ আছে এবং সেগুলো চার হাজার মিটারেরও (১৩ হাজার ফুট) বেশি উঁচু, এই এলাকায়ই উদ্ধারকারী দলগুলো কাজ করছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সেখানে ঘন কুঁয়াশা বিরাজ করছে এবং এর মধ্যে বৃষ্টিও হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফার্সটুডে।