শনিবার পাকিস্তানের একটি দুর্নীতি দমন আদালত ইমরানকে (২৪) অপহরণ, ধর্ষণ, হত্যা ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে সবগুলোতে আলাদাভাবে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
এছাড়াও তাকে সমকামিতার অভিযোগে যাবজ্জীবন, অন্য একটি অভিযোগে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে বলে জানায় পাকিস্তানের দৈনিক ডন।
নিরাপত্তার জন্য লাহোরের কেন্দ্রীয় কারাগারে বিশেষ আদালত বসিয়ে এই রায় দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার সময় জয়নবের পিতা হাজী মুহাম্মদ আমিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের জন্য ইমরানকে ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেনারেল এহতেশাম কাদির।
ইমরান শুরুতে অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেন।
ডন জানায়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ইমরান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এরপর তার আইনজীবী মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
গত ৯ জানুয়ারি লাহোরের দক্ষিণের কাসুর শহরের একটি ময়লার ভাগাড় থেকে ছোট্ট জয়নবের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
৪ জানুয়ারি থেকেই নিখোঁজ ছিল জয়নব। পরে জানা যায়, মক্তবে কোরআন পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে সে অপহৃত হয়। ওমরাহ পালন করতে ওই সময় তার পিতা-মাতা সৌদি আরবে ছিলেন।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জয়নবকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার কথা বলা হয়। যে ভাগাড়ে জয়নবের মৃতদেহ পাওয়া যায় সেটা তার বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে।
জয়নবের মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে স্থানীয়রা বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে দুই বিক্ষোভকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।