শুক্রবারের এ কম্পনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, সাড়ে তিনশ কিলোমিটার দূরের রাজধানীর ভবনগুলোও দুলে উঠেছিল বলে খবর বিবিসির।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস শক্তিশালী এ ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ওহাকা অঙ্গরাজ্যের পিনোতেপা দে দন লুইজের কাছে ছিল বলে জানিয়েছে। উৎপত্তি ছিল মাটির ২৪ দশমিক ৬ কিলোমিটার গভীরে।
ভূমিকম্পে ওহাকা রাজ্যের কিছু ভবন ধ্বসে পড়লেও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
প্রশান্ত মহাসাগরের সুনামি সতর্কতা কেন্দ্রও কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করেনি।
ভূমিকম্পের সময় রাজধানী মেক্সিকো সিটির হাজার হাজার অধিবাসীকে বাড়িঘর থেকে দৌড়ে রাস্তায় বের হতে দেখা গেছে। কয়েক মিনিটের জন্য যানবাহন চলাচলও থেকে যায়। ওই সময় অনেককেই কাঁদতে দেখা যায়, কেউ কেউ রাস্তার মধ্যেই পাশের জনকে জড়িয়ে ধরেন।
কর্তৃপক্ষ মেক্সিকো সিটি এবং চারটি অঙ্গরাজ্যের অধিবাসীদের সতর্ক করেছে। বাড়িতে না থেকে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিতেও পরামর্শ দিয়েছে তারা।
“১৯ সেপ্টেম্বরের পর এতটা ভয় পাইনি আর,” বলেন মেক্সিকো সিটির বাসিন্দা লুইজ রডরিগেজ।
আরেক নারী বলেন, “যে কোনো মুহুর্তে আপনার বাড়ি আপনারই ওপর ভেঙে পড়তে পারে, মনে হলেই ভয় লাগে।”
এদিকে ভূমিকম্পের পর ক্ষতিগ্রস্ত ওহাকা রাজ্য পরিদর্শনে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েছেন মেক্সিকোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আলফোনসো নাভারেতে ও ওহাকার গভর্নর আলেজান্দ্রো মুরাত। তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
আলফানসো ও মুরাত আহত হলেও তাদের অবস্থা শঙ্কামুক্ত।
উত্তর আমেরিকা, কোকোস ও প্যাসিফিক টেকটোনিক প্লেটের ওপরের দিকে থাকায় মেক্সিকোকে বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরেও দুই দফা ভূমিকম্পে দেশটিতে কয়েকশ লোক নিহত হয়েছিল।