সরকারবিরোধী বিক্ষোভ থামাতে এ পথে হাঁটতে হয়েছে বলে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমে প্রচারিত এক বিবৃতিতে বলা হচ্ছে।
দেশটিতে তিন বছর ধরে চলা বিক্ষোভ-সহিংসতায় কয়েকশ লোক নিহত হয়েছে বলে ধারণা বিবিসির।
আগের দফায় দীর্ঘ ১০ মাসের জরুরি অবস্থা দেখেছেন দেশটির নাগরিকরা। গত বছর ওই জরুরি অবস্থার অবসানের ঘোষণা এলেও রাজনৈতিক টানাপোড়েন শেষ হয়নি।
সরকার হাজারো বিরোধী সমর্থককে জেল থেকে মুক্তি দিয়েও বিক্ষোভ দমাতে ব্যর্থ হয়।
শুক্রবার থেকে জারি হওয়া নতুন এ জরুরি অবস্থার মেয়াদ কতদিন বিবৃতিতে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি; নাগরিকদের কি কি অধিকার রহিত হয়েছে- তাও বলা হয়নি।
বিবিসি বলছে, দীর্ঘদিন ধরে চলা বিক্ষোভ থামাতে ব্যর্থ হওয়ায় সরকারের ওপর চাপ ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে।
গত কয়েক সপ্তাহে বিরোধী রাজনীতিক ও তাদের সমর্থকসহ কয়েকশ কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার পরও বিক্ষোভ থামার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী হাইলেমারিয়াম পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এ ঘোষণা রাজনৈতিক বিপর্যয় ও অস্থিরতার অবসানে ভূমিকা রাখবে বলেও আশা তার।
“টেকসই শান্তি ও গণতন্ত্রের জন্য যে সংস্কারগুলো প্রয়োজন, আমার পদত্যাগ সে পথে ভূমিকা রাখবে বলেই মনে করছি,” বলেন হাইলেমারিয়াম।
সরকারবিরোধী এ বিক্ষোভ ২০১৫ সালের নভেম্বরে ওরোমিয়া অঞ্চলে প্রথম শুরু হয়; কিছুদিন পর আমাহারা অঞ্চলও তাতে যোগ দেয়। এ এলাকা দুটিতেই ইথিওপিয়ার বৃহৎ দুই জাতিগোষ্ঠীর বাস।
১৯৯১ সাল থেকে টানা ক্ষমতায় থাকা বর্তমান সরকারের নেওয়া নানান পদক্ষেপে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলে জাতিগোষ্ঠী দুটির সদস্যরা দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে এ বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে।