মুখ খুললেন এবার ট্রাম্পের ‘স্পেশাল’ প্লেবয় সুন্দরী

একের পর এক কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁসের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন প্লেবয় সুন্দরী কারেন ম্যাকডোগাল।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Feb 2018, 05:30 AM
Updated : 17 Feb 2018, 07:58 AM

এই নারী বলেছেন, ২০০৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ১০ মাস তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ট্রাম্পের। তাদের মধ্যে যৌন সম্পর্কও ছিল এবং ট্রাম্প তাকে তার জীবনে ‘বিশেষ’ নারী বলেছিলেন।

কারেনের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে বরাবরের মতোই একে ফেইক নিউজ বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে এই সম্পর্কের খবর ফাঁস হওয়ার পর ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের শীতল প্রতিক্রিয়ার খবরও এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে।

ম্যাকডোগালের দাবি অনুযায়ী, তার সঙ্গে যখন ট্রাম্পের সম্পর্ক চলছিল, তখনই মেলানিয়ার গর্ভে ট্রাম্পের সন্তান ব্যারনের জন্ম হয়েছিল।

নিউ ইয়র্কার সাময়িকীকে ম্যাকডোগাল বলেন, ২০০৬ সালে প্লেবয় ম্যানশনে প্লেবয় কর্ণধার (বর্তমানে প্রয়াত) হিউ হফনারের একটি পার্টিতে ম্যাকডোগালের সঙ্গে দেখা হয়েছিল ব্যবসায়ী ট্রাম্পের।

ম্যাকডোগালের ভাষ্য অনুযায়ী, তখন তার প্রতি আসক্তি দেখে তাকে ট্রাম্পের ‘পরবর্তী স্ত্রী’ আখ্যায়িত করেছিলেন প্লেবয়ের একজন বিপণন কর্মকর্তা।

প্লেবয় ম্যানশনে সাক্ষাতের পর ট্রাম্পের ব্যক্তিগত বাংলো বেভারলি হিলসে নিয়মিত মিলিত হওয়ার দাবি করছেন ম্যাকডোগাল।

তিনি তার দিনলিপিতে লিখেছেন, “ট্রাম্প আমাকে অর্থ দিতে চেয়েছিল। সেকথা শুনে আমি তখন আহত হয়েছিলাম। আমি বলেছিলাম, আমি সেই রকম মেয়ে নই। আমি অর্থের জন্য তোমার সঙ্গে শুইনি। আমি তোমাকে পছন্দ করেছি বলে তোমার সঙ্গে শুয়েছি।

“তখন সে বলেছিল, তুমি ‘স্পেশাল ওয়ান’।”  

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কারেন ম্যাকডোগাল (ম্যাকডোনালের ইনস্টাগ্রামের ছবি)

২০০৭ সালে ট্রাম্পের মুখে এক বর্ণবাদী মন্তব্য শুনে তার প্রতি আগ্রহ হারান ম্যাকডোগাল। ওই বছরের এপ্রিলে তাদের সম্পর্কচ্ছেদ ঘটে।

ম্যাকডোগাল বলছেন, অ্যামেরিকান মিডিয়া ইনকর্পোরেটের (এএমআই) সঙ্গে দেড় লাখ ডলারের একটি চুক্তি করার পর ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে নীরব ছিলেন তিনি।

ট্রাম্পেরই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ডেভিড পিকার অ্যামেরিকান মিডিয়া ইনকর্পোরেটের মালিক।

এএমআই এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিবাহিত কোনো ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কের গল্প কেনার শর্ত এবং ফিটনেস কলাম লেখার জন্য দেড় লাখ ডলার দেওয়া হয়েছিল ম্যাকডোগালকে।

“ট্রাম্পের কোনো গল্প চাপা দেওয়ার জন্য এএমআই কাউকে অর্থ দেয়নি,” বলা হয় বিবৃতিতে।

ম্যাকডোগাল বলছেন, এই সম্পর্কের কথা প্রকাশ নিয়ে বেশ নার্ভাস ছিলেন তিনি, তবে স্টরমি ড্যানিয়েল মুখ খোলার পর উৎসাহিত হন তিনি।

এই কথাগুলো শুনে কোনো নারী কোনো সম্পর্কে জড়ানোর ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হবে- এই আশায় এখন নিজের সঙ্গে সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কের কথা ফাঁস করেছেন ম্যাকডোগাল।

ম্যাকডোগাল বলছেন, তার সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক চলার মধ্যে তিন মাসের ব্যারনকে নিয়ে নিউ ইয়র্কে ফিরেছিলেন মেলানিয়া, যিনি ট্রাম্পের তৃতীয় স্ত্রী।

স্বামী ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাত সরিয়ে দেওয়াকে মেলানিয়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে- ছবি: সিএনএন টিভি

নিউ ইয়র্কারে যখন খবরটি ছাপা হয়, তখন মেলানিয়া ও ট্রাম্প ফ্লোরিডায়; স্কুলে এক তরুণের গুলিতে হতাহত পরিবারগুলোকে সান্ত্বনা জানাতে গিয়েছিলেন তারা।

সিএনএন’র এর এক ভিডিওতে দেখা যায়, বিমান থেকে নামার সময় ট্রাম্পের হাত ঝটকায় সরিয়ে দিচ্ছেন মেলানিয়া।

মেলানিয়ার এই শীতল প্রতিক্রিয়া নিউ ইয়র্কারে খবরটি দেখে বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে হোয়াইট হাউস বলেছে, ট্রাম্পের সঙ্গে কখনও ম্যাকডোগালের কোনো সম্পর্ক ছিল না।

“এটা সেই পুরনো গল্প, একটা ভুয়া খবর ছাড়া কিছুই নয়।”