সিরিয়ায় রাশিয়ার তৈরি ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছে মার্কিন ড্রোন

সিরিয়ায় রাশিয়ার তৈরি একটি টি-৭২ ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি ড্রোন বিমান।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Feb 2018, 04:51 AM
Updated : 14 Feb 2018, 05:08 AM

গত রোববার ট্যাঙ্কটি ধ্বংস করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

সিরিয়ার সরকারপন্থি বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘আত্মরক্ষামূলক হামলা’ চালিয়ে ট্যাঙ্কটি ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।

এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে সিরিয়ার সরকারপন্থি বাহিনীর বিরুদ্ধে এটি দ্বিতীয় মার্কিন হামলা। এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে মার্কিন জোট বাহিনী ও জোট বাহিনীর সমর্থিত বিদ্রোহী বাহিনী সরকারপন্থি বাহিনীর বড় ধরনের একটি হামলা প্রতিহত করে বলে দাবি মার্কিন পক্ষের; এতে সরকারপন্থি বাহিনীর শতাধিক যোদ্ধা নিহত হন বলে দাবি করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

সিরিয়ার আল তাবিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন ব্যবহার করে ট্যাঙ্কটিকে ধ্বংস করা হয়। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী বা তাদের সমর্থিত সিরীয় বিদ্রোহী বাহিনীর কেউ নিহত হয়নি বলে দাবি করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত মার্কিন বিমান বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেফরি হারিগিয়ান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বর্ণনা দেন। ট্যাঙ্কটি কারা চালাচ্ছিল বলে তিনি মনে করেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে কোনো উত্তর দেননি তিনি।

কিন্তু পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় সিরীয় সরকারি বাহিনীর অন্তত দুই যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।

কামানের গোলাবর্ষণের ছত্রছায়ায় এগোতে থাকা ট্যাঙ্কাটি যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জের মধ্যে পৌঁছে যাওয়ার পর তারা ট্যাঙ্কটিকে ধ্বংস করে বলে দাবি মার্কিন সামরিক বাহিনীর।

তবে এই ঘটনাকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মনে করছেন না মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস।

“হতে পারে ঘটনাটি শুধু স্থানীয় দুই ব্যক্তির যারা কিছু করছিলেন। এটিকে বড় কোনো হামলা বলে মহামান্বিত করতে চাই না আমি,” বলেছেন তিনি।

হারিগিয়ান জানিয়েছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা মার্কিন বাহিনীগুলো বিমান হামলার জন্য জোট বাহিনীকে ডেকে পাঠায়, তিন ঘন্টা ধরে চলা ওই অভিযানে এফ-১৫ই যুদ্ধবিমান, এমকিউ-৯ ড্রোন, বি-৫২ বোমারু বিমান, এসি-১৩০ গানশিপ এবং এএইচ-৬৪ অ্যাপাচি হেলিকপ্টার অংশ নিয়েছে।

“শত্রু বাহিনী মোড় নিয়ে পশ্চিম দিকে পশ্চাৎপসারণ করার পর আমরা হামলা বন্ধ করি,” বলেছেন তিনি।

এইসব ঘটনা থেকে আভাস পাওয়া যাচ্ছে সিরিয়ার তেলসমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চলে এ ধরনের আরো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে।

এই এলাকায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দিদের জোট সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) এবং আরব বেসামরিক বাহিনী বিশাল এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

অপরদিকে রাশিয়া ও ইরান সমর্থিত শিয়া বেসামরিক বাহিনীগুলোর সমর্থন পাওয়া প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বলেছেন, তিনি সিরিয়ার প্রতিটি ইঞ্চি পুনরুদ্ধার করতে চান।