পরকীয়ায় জড়িয়ে বিপাকে অস্ট্রেলিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী

নারী সহকর্মীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ঘর ভাঙার পর এখন মন্ত্রীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে পদত্যাগের চাপে পড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী বার্নবি জয়েস।

>>রয়টার্স
Published : 13 Feb 2018, 04:25 PM
Updated : 13 Feb 2018, 04:25 PM

তবে মঙ্গলবার আত্মপক্ষ সমর্থন করে জয়েস বলেছেন, তিনি পার্লামেন্টের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি।

২৪ বছরের বিবাহিত জীবনে জয়েস তার সাবেক প্রেস সচিব ভিকি ক্যাম্পিয়নের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন এবং তাদের সন্তানও হতে চলেছে।

অথচ জয়েস একজন ক্যাথলিক খ্রিস্টান এবং ‘পারিবারিক মূল্যবোধ’ এর পক্ষে প্রচার চালান। তার দীর্ঘ সংসার জীবনে চারটি কন্যা সন্তান আছে।

পরকীয়ার কারণে গত ডিসেম্বরে জয়েসের সংসার ভাঙলেও তা জনসম্মুখে আসে গত বুধবার। সিডনির ‘ডেইলি টেলিগ্রাফ’ পত্রিকা ভিকি ক্যাম্পিয়ন গর্ভবতী বলে খবর প্রকাশের পরদিন জয়েস জাতীয় টেলিভিশনে ভিকির সঙ্গে প্রেমের কথা স্বীকার করেন।

অস্ট্রেলিয়ার আইনানুযায়ী, মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকলে সেকথা মন্ত্রীদের আগেভাগেই জানাতে হয়। কিন্তু জয়েস তার প্রেস সেক্রেটারি ভিকির সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানাননি।

বর্তমান জোট সরকারের অধীনে ভিকি উচ্চ বেতনের দুইটি পদে নিযুক্ত ছিলেন। জয়সের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণেই তিনি ওই সুবিধা পেয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়।

ভিকিকে চাকরি দেওয়ার সময় জয়েস তার সঙ্গে সম্পর্কের কথা মন্ত্রীদেরকে জানাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে জয়েস বলছেন, সে সময় ভিকির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল না।

এখন হঠাৎ করে সম্পর্কের কথা প্রকাশ পেয়ে যাওয়ায় মারাত্মক চাপে পড়েছেন জয়েস। তার পদত্যাগের দাবি উঠেছে।

যদিও জয়েসের দাবি, ওই সময় যেহেতু ভিকি ‘সঙ্গী’ ছিলেন না তাই তিনি আইন ভাঙেননি।

জয়েস বলেন, “মন্ত্রণালয়ের আচরণবিধি নিয়ে আমি খুবই সচেতন। ভিকি ক্যাম্পিয়ন এখন আমার সঙ্গী এবং এ বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। কিন্তু যখন আমার কার্যালয়ে তিনি কাজ করতেন তখন আমার সঙ্গী ছিলেন না। এমনকি তিনি যখন ম্যাট কানাভানের কার্যালয়ে কাজ করতেন তখনও আমাদের সম্পর্ক ছিল না।”

নিজের ২৪ বছরের বৈবাহিক সম্পর্কের পরিণতি নিয়েও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জয়েস।

কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিরোধীদল লেবার পার্টি জয়েসের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়নি। তারা আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে জয়েসে পদত্যাগ চাইছে।

তিনি পদত্যাগ করলে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলকে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে। কারণ, জয়েস পদত্যাগ করলে টার্নবুল মাত্র এক আসনের ব্যবধানে পাওয়া পার্লমেন্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবেন।