মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছেন দেশটির সেনাবাহিনী, গ্রেপ্তারদের মধ্যে বিদেশিরাও রয়েছেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে; খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের বক্তব্য অনুযায়ী, শুক্রবার থেকে ‘সন্ত্রাসী ও অপরাধী উপাদান ও সংগঠনগুলোর’ বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বড় ধরনের নিরাপত্তা অভিযান শুরু করা হয়েছে, অভিযানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ অংশ নিচ্ছে।
সেনাবাহিনীর বিভিন্ন বিবৃতি অনুযায়ী, অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৩৮ জন জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে।
নভেম্বরে মিশরের একটি মসজিদে ভয়াবহ হামলায় তিন শতাধিক লোক নিহত হয়। আরব দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল রাষ্ট্র মিশরে চালানো সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা ছিল সেটি।
এরপর দেশটির সশস্ত্র বাহিনীগুলোকে তিন মাসের মধ্যে জঙ্গিদের পরাজিত করার আদেশ দেন প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তা আল সিসি। যিনি আগামী মাসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
আরব বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রে প্রধান মিত্র রাষ্ট্রটির সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠেছে উগ্রপন্থিদের এই বিদ্রোহ। তাই বিদ্রোহ দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন সিসি।
গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মিশরের প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে সেনাবাহিনী ক্ষমতাচ্যুত করার পর ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।