কাতালান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী পুজদেমন, ফের তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টায় স্পেন

কাতালুনিয়া তাদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ক্ষমতাচ্যুত নেতা কার্লেস পুজদেমনের নাম ঘোষণা করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে পুনরায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছে স্পেন সরকার।

>>রয়টার্স
Published : 22 Jan 2018, 01:15 PM
Updated : 22 Jan 2018, 03:52 PM

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সোমবার কাতালান পার্লামেন্ট স্পিকার রজার তরেন্ত প্রেসিডেন্ট পদে একক প্রার্থী হিসেবে পুজদেমনের নাম ঘোষণা করেন। আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এ বিষয়ে ভোট হতে হবে।

গত সপ্তাহে কাতালানের নতুন পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন বসে এবং প্রথমদিনই স্বাধীনতাপন্থি নেতা তরেন্ত স্পিকার নির্বাচিত হন।

গণভোট এবং স্পেন থেকে কাতালানের একতরফা  স্বাধীনতা ঘোষণার পর গ্রেপ্তার এড়াতে গতবছর অক্টোবরে বেলজিয়াম চলে যান ওই অঞ্চলের নেতা পুজদেমন। তিন মাস ধরে ব্রাসেলসে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা এ নেতা সোমবার ডেনমার্ক পৌঁছেছেন বলে জানায় রয়টার্স।

জিএটি ০০:০৭ দিকে তাকে কোপেনহেগেন বিমানবন্দরে দেখেছেন রয়টার্সের এক প্রতিনিধি।“বিমানবন্দরে তাকে আটকানো হয়নি। সেখান থেকে একটি গাড়িতে করে তিনি চলে যান।”

কাতালানের স্বাধীনতাপন্থি এ সাবেক নেতা কোপেনহেগেন বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরপরই স্পেনের প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবারও ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। ডেনমার্কের কাছে পুজদেমনকে হস্তান্তর করার অনুরোধও জানিয়েছে স্পেন।

কাতালানের স্বাধীনতা ঘোষণার পর পুজদেমনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, রাষ্ট্রদ্রোহ ও রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়ের অভিযোগে নভেম্বরে একটি মামলা করা হয়েছিল হয়েছিল।

বিদ্রোহ স্পেনে সবচেয়ে মারাত্মক অপরাধ হিসাবে গণ্য; যার সাজা হতে পারে ৩০ বছরের জেল।

ওই মামলার শুনানিতে হাজির না হওয়ায় স্পেনের সুপ্রিম কোর্ট পুজদেমনের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

কিন্তু পরে স্পেন সরকারের ডাকা আগাম নির্বাচনে ‘অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার জন্য’ পুজদেমনের বিরুদ্ধে ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল।

কাতালানে ২১ ডিসেম্বরের আঞ্চলিক নির্বাচনে আবারও স্বাধীনতাপন্থিরাই জয়লাভ করে এবং তারা পুনরায় পুজদেমনকেই প্রেসিডেন্ট দেখতে চায়।

অন্যদিকে, স্পেন সরকার পুজদেমনকে আবারও কাতালানের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হতে দেবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে।

মাদ্রিদের যুক্তি, পুজদেমন স্বেচ্ছা নির্বাসনে আছেন এবং তিনি পার্লামেন্টে ভোটের সময় সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারবেন না।

পুজদেমনের সমর্থকরা এ অসুবিধার কথা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে দূরে বসেই সরকার চালাতে পারবেন পুজদেমন।

গত শুক্রবার পুজদেমনও ব্রাসেলসে সাংবাদিকদের তার এ ধরণের ইচ্ছার কথা বলেছেন।