গর্ভধারণ নিয়ে প্রতারণা, গিনিতে ভন্ড কবিরাজ গ্রেপ্তার

চিকিৎসার পর অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন এমন বিশ্বাস দিয়ে শতাধিক নারীর অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গিনির ভন্ড এক কবিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Jan 2018, 05:21 PM
Updated : 18 Jan 2018, 02:58 PM

বিবিসি জানায়, এন'না ফান্তা কামারা নামের ওই কবিরাজ চিকিৎসার নামে সন্তানহীন নারীদের লতাপাতা, শেকড় ও বিভিন্ন ওষুধ দিয়ে তৈরি একটি মিশ্রণ সেবন করতে দিতেন।

কিছুদিনের মধ্যে ওষুধ সেবন করা নারীদের পেট বড় হতে শুরু করত, যেমনটা অন্তঃসত্ত্বা নারীদের হয়।

৩৩ মার্কিন ডলার সমমূল্যের অর্থ দিয়ে নারীদেরকে এ চিকিৎসা নিতে হত। যেখানে গিনিতে গড় মাসিক আয় ৪৮ মার্কিন ডলারের মত।

এভাবে প্রতারণা করে কামারা এক মাসে কয়েক হাজার ডলার আয় করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। যদিও কামারার দাবি, তিনি মানুষকে সাহায্য করতে চান।

কামারাকে গ্রেপ্তার করে রাজধানী কোনাক্রির একটি থানায় রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার দুই শতাধিক নারী ওই থানার সামনে বিক্ষোভ করেছেন বলে জানায় বিবিসি।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক নারী বিবিসি’কে বলেন, “বছরখানেক আগে ওই নারী কবিরাজ আমাদের এলাকায় আসেন।”

“প্রথমে তিনি আমাদের এমন একটি ওষুধ দেন যাতে বমি শুরু হয়। তিনি আমাদের বলেন, এটি ভাল লক্ষণ। যারা ওই ওষুধ খাওয়া চালিয়ে যায় তাদের পেট এক সময় বড় হতে শুরু করে। তখন তার কাছে গেলে তিনি আমাদের পেটে হাত দিয়েই বলেন, আমরা অন্তঃসত্ত্বা।”

কামারা তার কাছে চিকিৎসা নেওয়া নারীদের ডাক্তারের কাছে যেতে নিষেধ করেন বলেও জানান তিনি।

বিক্ষোভ করা নারীদের কেউ কেউ জানান, কামারা তাদের অন্তঃসত্ত্বা বলার পর ১২ থেকে ১৬ মাস পেরিয়ে গেলেও কেউ সন্তানের জন্ম দেননি।

পুলিশ বিভাগের এক চিকিৎসক বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ৪৭ জন নারীকে পরীক্ষা করে বলেছেন, এ কারণে তাদের দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক জটিলতায় ভুগতে হতে পারে।

১৭ থেকে ৪৫ বছর বসয়ী প্রায় সাত শতাধিক নারী কামারার ‘প্রতারণার’ শিকার হয়েছেন বলে ধারণা পুলিশের।

গিনি তো বটেই, গোটা আফ্রিকার অধিকাংশ মানুষ চিকিৎসার জন্য কবিরাজের দ্বারস্থ হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনযায়ী, ২০০৬ সালে আফ্রিকার ৮০ শতাংশ মানুষ কবিরাজের কাছে চিকিৎসা করিয়েছেন।