ফিলিস্তিনের সাড়ে ৬ কোটি ডলার সাহায্য আটকাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করে আসা জাতিসংঘের একটি সংস্থার তহবিলে প্রতিশ্রুত অর্থের পরিমাণ অর্ধেকের বেশি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

>>রয়টার্স
Published : 17 Jan 2018, 02:12 PM
Updated : 17 Jan 2018, 02:21 PM

‘ইউএন রিফিল এন্ড ওয়ার্কস এজেন্সি’তে (ইউএনআরডব্লিউএ) সাড়ে ১২ কোটি ডলার অনুদান দেওয়ার কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু সেখানে এখন তারা ছয় কোটি ডলার অর্থ সাহায্য দেবে। বাকি সাড়ে ছয় কোটি ডলার আটকে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতিসংঘ সংস্থাটির জন্য অর্থ সাহায্য বন্ধের হুমকি দেওয়ার প্রায় দু’সপ্তাহের মাথায় এ ঘোষণা এল।

ইউএনআরডব্লিউএ’র সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র। সংস্থাটির বাজেটের ৩০ শতাংশই দেয় ওয়াশিংটন। এ সংস্থা পশ্চিম তীর, গাজা, জর্ডান, সিরিয়া ও লেবাননে ফিলিস্তিনিদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবামূলক সহায়তা করে থাকে।

ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি না হলে ওই সংস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুত অর্থ সাহায্য কমিয়ে আনার হুমকি আগেই দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

ফিলিস্তিনিরা যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তে নিন্দা করেছে। জাতিসংঘ কর্মকর্তারাও এ পদক্ষেপে মানবিক সংকট দেখা দেওয়া এবং আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা আরো বেড়ে যাওয়ার আশংকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‍মুখপাত্র হিদার নাউর্ত মঙ্গলবার বলেছেন, “এ সিদ্ধান্ত কাউকে শাস্তি দিতে নয়। যুক্তরাষ্ট্র ইউএনআরডব্লিউএ এর সংস্কার চায়, সেজন্যই এ পদক্ষেপ।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা  এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘ভবিষ্যত বিবেচনার জন্য’ ওই অর্থ আটকে রাখা হয়েছে।

“অন্যান্য দেশের নিজ দায়িত্ব পালনের সময় হয়েছে, যাদের মধ্যে কেউ কেউ বেশ ধনী। নিজেদের আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় তাদের পদক্ষেপ নিতে হবে এবং নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে।”

তহবিল কমানোর সিদ্ধান্ত আসার দু’সপ্তাহ আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করে বলেছিলেন, সাহায্য দেওয়ার বিনিময়ে আমেরিকা যথাযথ কোনো সম্মানই পায়নি।

গত রোববার ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করে বলেছিলেন, জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় তিনি ট্রাম্পের কোনো শান্তি পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন না।

ইসরায়েল ১৯৯৪ সালের অসলো চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলেও অভিযোগ করেন আব্বাস।

ওই চুক্তিতে ‘দ্বি-রাষ্ট্র’ নীতিতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সঙ্কট সমাধানের কথা বলা হয়েছে।