সৌদি আরবে ক্রসফায়ারে কথিত ‘সন্ত্রাসী’নিহত

সৌদি আরবে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত’ সন্দেহভাজন এক ব্যক্তি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Jan 2018, 07:45 AM
Updated : 17 Jan 2018, 07:45 AM

দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে গোলাগুলির পর আব্দুল্লাহ বিন মির্জা আলি আল-কাল্লাফ নামে ওই ব্যক্তি নিহত হন বলে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এসপিএ-র বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে।

নিহত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করেছে সম্প্রতি গঠিত প্রেসিডেন্সি অব স্টেট সিকিউরিটি ।

সোমবার রাতে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ আওয়ামিয়া ও কাদিয়াহ এলাকার মাঝে একটি খামারে অভিযান চালানোর সময় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে দাবি স্টেট সিকিউরিটির।

“জাল লাইসেন্স প্লেটের একটি রূপালি রঙের হুন্দাই সোনাটা গাড়িতে ছিলেন ওই ব্যক্তি। নিরাপত্তা বাহিনী গাড়িটিকে থামাতে চেষ্টা করলে ওই ব্যক্তি তাদের সহযোগিতা না করে উল্টো গুলি ছোড়ে; পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাহিনীর সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে, ফলশ্রুতিতে তার মৃত্যু হয়,” স্টেট সিকিউরিটি বিবৃতির বরাতে জানিয়েছে এসপিএ।

গোলাগুলিতে নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো সদস্য আহত হননি বলেও জানিয়েছে তারা।

কাল্লাফের গাড়ির ভেতর একটি কালাশনিকভ রাইফেল, একটি পিস্তল, গোলাবারুদ, সামরিক বাহিনীর পোশাক ও মুখোশ পাওয়া গেছে বলে ভাষ্য সৌদি নিরাপত্তা সংস্থারটির।

তবে শিয়া মতাদর্শভিত্তিক অনলাইন মিরাত আল-জাজিরা বলছে, সংখ্যালঘু শিয়া অধ্যুষিত পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে সৌদি কর্তৃপক্ষের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় কাল্লাফের নাম ছিল না।

সৌদি আরবের সুন্নিশাসিত সরকার ও সংখ্যালঘু শিয়াদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের অন্যতম দৃশ্যমান ক্ষেত্র আওয়ামিয়া। শিয়া সম্প্রদায়ভুক্তদের অভিযোগ, সৌদি কর্তৃপক্ষ তাদের ওপর নির্বিচারে শোষণ চালাচ্ছে। রিয়াদ এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

২০১৬ সালে সৌদি সরকার সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগে প্রখ্যাত শিয়া নেতা নিমর আল-নিমরকে ফাঁসি দেওয়ার পর দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে। 

কর্তৃপক্ষ গত বছর থেকে আওয়ামিয়ার দুইশ বছরেরও পুরনো শহর আল-মুসাওয়ারাকে গুড়িয়ে দেয়। সেখানে দোকান ও অফিস বানানোর পরিকল্পনায় পুনর্গঠনের কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

তেল সমৃদ্ধ ওই শহরটির সরু রাস্তাকে লুকানোর জায়গা হিসেবে ব্যবহার করে শিয়ারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালাতে সুবিধা পাচ্ছিল বলে সেটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।