সোমবার শুরু হওয়া এ লড়াইয়ে ত্রিপোলির মিটিগা বিমানবন্দরে বেশ কয়েকটি উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
নিকটবর্তী একটি কারাগার ভেঙে জঙ্গিদের মুক্ত করার চেষ্টায় হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের; হামলাটি ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।
রয়টার্স জানিয়েছে, ওই হামলার ফলে ত্রিপোলিতে কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র লড়াই শুরু হয়, এতে শহরটির পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার যে দাবি করেছিল দেশটির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জাতীয় ঐক্যমতের সরকার (জিএনএ) তা ম্লান হয়ে যায়।
এই সহিংসতার কারণে বিদেশি কূটনৈতিক মিশনগুলোকে ত্রিপোলিতে ফিরিয়ে আনার জিএনএর উদ্যোগও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
সোমবার ভোর থেকেই শহরটির কেন্দ্রস্থলের দিক থেকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের গুলি ও গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ত্রিপোলির সবচেয়ে প্রভাবশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী স্পেশাল ডিটারেন্স ফোর্স (রাডা) ও শহরের তাজৌরা এলাকাভিত্তিক প্রতিদ্বন্দ্বী উপদলের মধ্যে লড়াইটি হয়।
জিএনএ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই লড়াইয়ে অন্তত ২০ জন নিহত ও ৬০ জন আহত হয়েছেন।
‘গরু’ বশির নামের এক মিলিশিয়া নেতা ও অন্যান্যদের অনুগত লোকজন মিটিগা বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে রাডা। ‘ফেরারি’ এসব লোকজনকে আটক করার চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে রাডা।
“হামলায় বিমান যাত্রীদের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ে, বিমান চলাচলের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এবং আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে ত্রাস ছড়িয়ে পড়ে,” বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে জিএনএ।
এক ঘোষণায় লিবিয়ার অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার কেন্দ্রস্থল মিটিগা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সব ফ্লাইট বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে।
বিকেলের দিকে লড়াই স্তিমিত হয়ে আসার পর বিমানবন্দরটিও খালি হয়ে যায়। এরমধ্যেই পাইলটরা কয়েকটি উড়োজাহাজকে রাজধানীর ওপর দিয়ে উড়িয়ে বন্ধ হয়ে থাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সরিয়ে নেয়।
কামানের গোলায় ক্ষতিগ্রস্ত আফ্রিকিয়াহ এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজকে মিটিগা বিমানবন্দরের একটি হ্যাঙ্গারে পড়ে থাকতে দেখেছেন রয়টার্সের এক সাংবাদিক। এর পাশাপাশি আরো অন্তত চারটি উড়োজাহাজ গুলিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।