উত্তর কোরিয়ার কতজন অ্যাথলেট অলিম্পিকে অংশ নেবে, কোন পথে এবং কবে নাগাদ তারা দক্ষিণ কোরিয়ায় যাবে ইত্যাদি নিয়ে আলোচনার জন্য সোমবার দুই কোরিয়ার কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
দুই পক্ষের চারজন করে প্রতিনিধি আলোচনায় অংশ নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবারের এ বৈঠকটিও সীমান্তবর্তী পানমুনজম গ্রামে হয়েছে। এ এলাকাটি যুদ্ধবিরতি’ গ্রাম হিসেবে পরিচিত।
ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংচ্যাংয়ে শীতকালীন অলিম্পিক শুরু হবে।
গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া এ অলিম্পিকে তাদের দল পাঠানোর ঘোষণা দেয়। উত্তর কোরিয়ার ১৪০ সদস্যের একটি দল দক্ষিণে যাওয়ার কথা রয়েছে।
এর ফলে ২০০৬ সালের পর আবারও দুই কোরিয়াকে এক পতাকা তলে দেখা যাবে।
এতে করে গত দুই বছর ধরে মুখোমুখি অবস্থানে থাকা প্রতিবেশী দেশদুটির সম্পর্কের উন্নয়ন হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার অলিম্পিকে অংশ গ্রহণের সুযোগ নিয়ে আলোচনার জন্য এর আগে গত ৯ জানুয়ারি দুই কোরিয়ার শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা পানমুনজম গ্রামে বৈঠক করেন।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এ গ্রামে সর্বশেষ দুই কোরিয়ার মধ্যে আলোচনা হয়েছিল।
পিয়ংইয়ংয়ের ছোড়া রকেট ও পারমাণবিক পরীক্ষার প্রতিক্রিয়ায় সেবার সিউল কায়েসং শিল্প এলাকার একটি যৌথ অর্থনৈতিক প্রকল্প বাতিল করার পর দুই কোরিয়ার সম্পর্কে অবনতি হয়।
তারপর থেকে উত্তর কোরিয়া দক্ষিণের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ ছিন্ন করে।
উত্তর কোরিয়া এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত কোনো অলিম্পিকে অংশ নেয়নি। ১৯৮৮ সালে সিউল অলিম্পিক গেমস বয়কট করেছিল দেশটি।